ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মহিষ পালনে বাংলাদেশে অবহেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:১১ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০১৯

মহিষ পালনে অবহেলা করছে বাংলাদেশ। আর সেই সুযোগটি নিচ্ছে পার্শ্ববর্তীদেশগুলো। একসময় বাংলাদেশে ৪২ লাখের মতো মহিষ থাকলেও বর্তমানে তা ৬ লাখে ঠেকেছে। অথচ গরুর চেয়ে মহিষের দুধ ও মাংস সুস্বাদু এবং বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। কিন্তু প্রচারণা না থাকায় আমরা কেউ মহিষের মাংস খেতে চাই না। বাংলাদেশে তরল দুধের মাত্র ৪ ভাগ আসে মহিষ থেকে। অথচ ভারতে তরল দুধের ৫৬ ভাগ আসে মহিষ থেকে। নেপালে আসে ৭০ ভাগ এবং পাকিস্তানে আসে ৬৩ ভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেআইবি মিলনায়তনে ‘Buffalo Development for the Production of safe Food and Sustainable Development’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এতথ্য জানান। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল ব্রিডিং এন্ড জেনেটিক বিভাগের অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসসফ) এর জিএম ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী এবং কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের পিডি বেলাল হোসেন।

বক্তারা বলেন, ব্যাপকভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মহিষের উৎপাদন করে দেশ-জাতির আমিষের চাহিদাপূরণ করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। অথচ আমাদের দেশে মহিষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। তারা সরকারি-বেসরকারিপর্যায়ে মহিষের জাত উন্নয়ন, ব্যাপক উৎপাদন ও পরিচর্যার ব্যাপারে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, মহিষের সংখ্যাহ্রাস এবং বিনাচিকিৎসায় এদের ব্যাপক মড়কের ব্যাপারে ভেটেনারিয়ানদের সক্রিয়তা হতে হবে। তিনি এজন্য প্রানিসম্পদ অধিদফতরসহ বেসরকারি খামারী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। মহিষের দুধ ও গোস্তের খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের রুচির ক্ষেত্রে যেমন মানসিকতার পরিবর্তন দরকার তেমনই বাজারে মহিষের গোস্তকে গরুর দুধ বলে চালানোর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেয়ারও আহবান জানান।

প্রানিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাথুরাম সরকার, সেনাবাহিনী কর্মকর্তা আব্দুল বাকী, মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি ডা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

 
Electronic Paper