ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মানসিক চাপে কেন চুল পাকে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
🕐 ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০

চুল পাকা প্রত্যেক মানুষের জন্যই একটি বড়ো সমস্যা। অনেকেরই বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সে চুল পাকার সমস্যা দেখা দেয়। মাথার ত্বকে পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেল বা খনিজের অভাব হলে অকালে চুল পাকে। তাছাড়া হরমোনের বা পরিবেশগত সমস্যায় অকালে চুল পাকে। তবে চুল পাকার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয় উচ্চ মানসিক চাপকে। আশার কথা, মানসিক চাপে কীভাবে চুল সাদা হয় বিজ্ঞানীরা এবার সেই রহস্য ভেদ করতে সমর্থ হয়েছেন। চুল সাদা হওয়ার সমস্যা কীভাবে ঠেকানো যায় সেটিও উদ্ঘাটন করেছেন বিজ্ঞানীরা।

 

ইঁদুরের ওপর চালানো এক পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যেসব স্টেম সেল গায়ের রং এবং চুলের রং নিয়ন্ত্রণ করে তা তীব্র ব্যথার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এভাবে দেখা গেছে, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে কালো রঙের ইঁদুরের গায়ের সমস্ত লোম পেকে সাদা হয়ে গেছে। ব্রাজিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গবেষণার ফলাফল ধরে সামনের দিনে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের রং বদলে যাওয়া ঠেকানোর ওষুধ আবিষ্কার সহজ হতে পারে।

ত্রিশ বছরের পর নারী-পুরুষ যে কারোই চুল সাদা হতে শুরু করতে পারে, যদিও স্বাভাবিকভাবে বয়স বাড়ার লক্ষণ হিসেবে চুলের রং পরিবর্তন হয়। তবে মানসিক চাপে যে চুল পেকে সাদা হয়ে যায়, এ কথা বহুকাল ধরেই প্রচলিত আছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এতদিন জানতেন না, ঠিক কীভাবে সেটা হয়।

সাও পাওলো ইউনিভার্সিটি এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস—এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে মেলানোসাইট স্টেম সেল সম্পর্কিত, যেটি মেলানিন উত্পাদন করে। মেলানিনের মাত্রার হেরফেরের কারণে চুল ও গায়ের রঙের ফারাক হয়। নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় হার্ভার্ডের বিজ্ঞানী অধ্যাপক ইয়া-সুয়ে সু জানিয়েছেন, আমরা এখন নিশ্চিত যে মানসিক চাপের কারণে মানুষের চুল অকালে পেকে যেতে পারে এবং সেটা কীভাবে হয়, এখন আমরা তা জানি।

তিনি বলেন, নতুন এই আবিষ্কার মানুষের ওপর পরীক্ষা করা শুরুর প্রক্রিয়া আরম্ভ করবে মাত্র। সেই সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অংশের চুলও কেন পাকে সেটাও বুঝতে পারছি আমরা। আমি ধারণা করেছিলাম স্ট্রেস বা মানসিক চাপ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু আমাদের ফলাফলে আমরা যা দেখেছি তা কল্পনারও বাইরে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পিগমেন্ট-পুনরুত্পাদনকারী স্টেম সেলগুলো সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে যায়। এবং এর পর আর আপনার পিগমেন্ট তৈরি হবে না। ফলে ক্ষতিটা স্থায়ী রূপ লাভ করে।-বিবিসি

 
Electronic Paper