ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চীন

কাশ্মীর ইস্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ২:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে গিয়ে উল্টো সুরে কথা বলছে চীন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক বিষয় করে তুলতে চাইলেও চীন মনে করে এটি একান্তই ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বিষয়। আনন্দবাজার পত্রিকার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি কলকাতার শান্তিনিকেতনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আসা চীনের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ কিয়ান ফেং চীন সরকারের এই অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানান, বেইজিং বরাবরই কাশ্মীর নিয়ে এই অবস্থান নিয়ে চলেছে। তিব্বত ও তাইওয়ানকে যেমন চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে স্বীকার করে দিল্লি। তাই, বেইজিংও মনে করে কাশ্মীর ইস্যুটি সম্পূর্ণ ভারতের নিজস্ব ব্যাপার। এখানে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ার কিছু নেই।

পাকিস্তানে ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার টিসিএ রাঘবন জানান, দু’দেশের মধ্যে একটি ‘বোঝাপড়া’ বহুদিন ধরেই চলছে। সেটা হলো, তিব্বত ও তাইওয়ানের সমস্যাকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে ভারত। আর কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানকেও স্বীকৃতি দিয়েছে চীন।

এর আগে গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ায় ভারতের সমালোচনা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন। সে সময় বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, লাদাখের সঙ্গে চীনের বিরোধীয় সীমান্ত রয়েছে।

নয়াদিল্লি তার আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীন এক বিবৃতিতে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, লাদাখ এলাকাটি বেশিরভাগ বৌদ্ধদের বসবাস। এটি কৌশলগতভাবে তিব্বত ও পাকিস্তানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

অথচ, এর এক মাস পার না হতেই উল্টো সূরে কথা বলচে চীনা কর্তৃপক্ষ।

কিছুদিন আগে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় বিজেপি সরকার। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। কাশ্মীর অবরুদ্ধসহ এখন সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। আর চীন একেক সময় একেক দেশের পক্ষ নিয়ে সাফাই গাইছে।

 
Electronic Paper