ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুবির আনন্দ ভ্রমণ

তানভীর আহমেদ রাসেল
🕐 ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০১৯

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে কাজ করা সাংবাদিকদের প্ল্যাটফর্ম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব সম্প্রতি আয়োজন করেছে বার্ষিক শিক্ষা সফর। স্থান নির্ধারণ হয়েছে চট্টগ্রামের দুটি ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র ভাটিয়ারী লেক ও গুলিয়াখালী সি বিচ। নির্ধারিত দিনে সকাল ৭টায় ৩৫ জন ভ্রমণসঙ্গী নিয়ে যাত্রা শুরু করে কুবি প্রেস ক্লাব। সকাল ১০টায় আমরা পৌঁছে গেলাম ভাটিয়ারীতে যা কি না চট্টগ্রাম শহরের সিটি গেট থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরত্বের পথ।

ভাটিয়ারীতে পৌঁছে মনে হলো, এই যেন প্রকৃতির অসাধারণ রূপ বৈচিত্র্যের একটি জ্বলজ্বলে খণ্ড। এখানের সুবিশাল পাহাড় আর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে লেকের কাক চক্ষুর মতো স্বচ্ছ পানি যে কাউকে বিমোহিত করবে। সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকাটির আঁকাবাঁকা ও উঁচুনিচু মনোরম রাস্তা, দুপাশে সবুজের অভয়ারণ্য, সুউচ্চ পাহাড়ের উপস্থিতি, এই যেন চট্টগ্রামের বুকে একখণ্ড সাজেক ভ্যালি। এখানে রয়েছে সানসেট পয়েন্ট যেখান থেকে সূর্যান্ত আর সূর্যোদয়ের চমৎকার দৃশ্য অবলোকন করা যায়। ভাটিয়ারীতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করে আমরা চলে এলাম সীতাকুণ্ডে।

সীতাকুণ্ড শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত গুলিয়াখালী সি বিচটি। সড়কের বেহাল দশার কারণে একমাত্র সিএনজি যাতায়াতের একমাত্র পন্থা। প্রায় ৩০ মিনিট পর পর আমরা পৌঁছালাম বিচের তীরে। এখানকার অনিন্দ্য সুন্দর চারপাশের পরিবেশ আনন্দে বিমোহিত করল আমাদের সবাইকে। দিগন্তজোড়া সাগরের জল রাশির সঙ্গে কেওয়া বন গুলিয়াখালীকে পর্যটকদের কাছে করেছে অনন্য।

সাগরের তীরের সবুজ গালিচার বিস্তৃত মাঠ, ঘাসের ওপর প্রাকৃতিকভাবে জেগে ওঠা ছোট ছোট অসংখ্য নালা, পুরো বিচজুড়ে কেওয়া গাছের শ্বাসমূল দিয়ে প্রকৃতি গুলিয়াখালীকে সাজিয়েছে আপন মহিমায়। সাগরের গর্জন না থাকলেও নিরিবিলি পরিবেশের গুলিয়াখালীর অসাধারণ রূপে আমাদের ভ্রমণ ক্লান্তি যেন একবারেই মুছে দিল। সন্ধ্যা ৬টায় বিচ ত্যাগ করে আমরা ফিরে এলাম সীতাকুণ্ড শহরে।

দিনশেষে স্মৃতির পাতায় আরেকটি স্মরণীয় দিন যোগ করে সন্ধ্যা ৭টায় সেখান থেকে রওনা দিয়ে রাত ৯টায় ফিরে এলাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

 
Electronic Paper