ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীর ফোন ছিনতাই, গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

রাবি প্রতিনিধি
🕐 ৮:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৫, ২০২৪

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীর ফোন ছিনতাই, গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালানোর সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পরে গণধোলাই খান ওই ছিনতাইকারী।

গণধোলাইয়ের এক পর্যায়ে ছিনতাইকারী মোবাইল ফোনটি ফেরত দিলে পুলিশের সহায়তায় সেটি ভুক্তভোগী নারী ভর্তিচ্ছুর হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন পূর্ণীমা অধিকারী। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।

অপরদিকে অভিযুক্ত ছিনতাইকারী হলেন অনিক (২২)। তিনি নগরীর তালাইমারী এলাকার সুমনের ছেলে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের পরিচয় দেন। এছাড়া তার সঙ্গে রবীন নামের আরেকজন ছিনতাইকারী ছিলেন বলে জানান তিনি।

ছিনতাইকারীকে ধরার প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি দেখছিলাম একটা মেয়ে শেখ রাসেল মাঠে ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে করতে একজন লোকের পেছনে দৌড়াচ্ছিল। এসময় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমি সেই ছিনতাইকরীকে আটক করি। এসময় আমার সঙ্গে অনেক ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিল, তারাও আমাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন। ধরার পর আমরা বুঝতে পারি তারা দুজন ছিল। তবে আরেকজনকে আমরা ধরতে পারিনি।

তিনি বলেন, ছিনতাইকারী একটি গাড়ির নিচে ফোনটি ফেলে রেখেছিল। তার তথ্য অনুযায়ী গাড়ির নিচ থেকে আমরা ফোনটি বের করে নিয়ে এসে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দিই। পরবর্তীতে বিষয়টি আমরা পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে জানাই। এরপরে সেই ছিনতাইকারীকে আমরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমরা ব্যস্ত থাকায় ওই ছিনতাইকারীকে সরাসরি পুলিশে সোপর্দ করেছি। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।

 
Electronic Paper