ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

লাল সবুজের ক্যাম্পাস

ইরফান রানা
🕐 ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৮

আকাশ সমান স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউ বা বিসিএস ক্যাডার। স্বপ্ন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে মেডিকেল, প্রকৌশল, ঢাবি, জাবি এবং রাবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরনোর পরই শুরু হয় স্বপ্নের পথে যাত্রা। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করতে অনেকটা বেগ পেতে হয় শিক্ষার্থীদের।

আর্থিক সংকট, আসন স্বল্পতাসহ নানা কারণে পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পায় না অনেকেই। একপর্যায়ে বাধার প্রাচীর মাড়িয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে স্থান করে নেয় মেধাবীরা। দেশের উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠগুলো প্রতিবছর হাজার হাজার জনসম্পদ তৈরি করে চলছে।

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত ইসলমী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহর থেকে যথাক্রমে ২২ ও ২৪ কিলোমিটার দূরে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিশ্ববদ্যিালয়টি পার করেছে প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছর। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে তিনটি বিভাগ ৮ জন শিক্ষক ও তিনশত শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়।

বতর্মানে এ বিদ্যাপীঠে পাঁচটি অনুষদের অধীনে ৩৩টি বিভাগে ২ হাজার ২৭৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে আবাসিক, পরিবহন, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যসেবার সুব্যবস্থা। এ ছাড়াও মুক্তসংস্কৃতি চর্চা, মুক্তবুদ্ধি চর্চা এবং বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে বিকশিত হওয়ার অবধারিত সুযোগ।

পড়াশোনার জন্য দরকার নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা ক্যাম্পাসে রয়েছে টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া, সূর্যমুখী, শিউলী, কদম ফুল, কাশফুল, বেলিসহ হাজারো হৃদয় কাড়া বাহারি ফুলের সমাহার। সবুজের নীলিমায় জড়ানো ক্যাম্পাস যেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখপাখালির অভয়ারণ্যে। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন চত্বর। চত্বরগুলো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আড্ডা, র‌্যাগ ডে, জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠানে মুখরতি থাকে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে আপনার স্বপ্নের ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন,‘নিঃশব্দ পদচারণায় শান্ত ও নির্মল পরিবেশে অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সব সুবিধা রয়েছে এ ক্যাম্পাসে। এ ছাড়াও আমাদের শিক্ষকরা অত্যন্ত যোগ্য। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় যোগ্য এবং অপেক্ষাকৃত অধিকতর যোগ্য শিক্ষক রয়েছে এখানে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিকীকরণের পথে হাঁটছে এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চলেছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘ধর্মতত্ত, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান, ফলিত বিজ্ঞান প্রযুক্তি, আইন এবং বিজনেস সংক্রান্ত অত্যাধুনিক বিষয়সমূহে আইসিটি সুবিধা সংবলিত পঠন-পাঠন এবং গবেষণার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।’

 
Electronic Paper