আমি অতটা উদার বা প্রচারবিমুখ নই
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৫:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২২

ইকবাল খন্দকার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। একইসাথে, উপস্থাপক, নাট্যকার এবং গীতিকার হিসেবেও প্রশংসিত। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবিদ আজম...
সৃষ্টিশীলতার নানান শাখায় আপনার বিচরণ। কোন পরিচয়টা বেশি পছন্দের?
-অবশ্যই লেখক পরিচয়টা আমার পছন্দের। কারণ, লেখালেখি করছি ক্লাস এইট থেকে। বই প্রকাশই হচ্ছে একুশ বছর ধরে। বইয়ের সংখ্যা ১০৭। আর উপস্থাপনার বয়স সবে দশ বছর। গীতিকবিতা যদিও আরেকটু বেশিদিন ধরে লিখছি, তবু এই পরিচয়টা আমার একদমই পছন্দ না। কারণ, শ্রোতারা গান শোনেন, গীতিকবিকে চেনার প্রয়োজন মনে করেন না। আর লেখক পরিচয়টা পছন্দ হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, লেখক পরিচয়ের উপর ভিত্তি করেই আমার উপস্থাপক পরিচয়। যেহেতু আমি আগে টিভি অনুষ্ঠানের স্ত্রিপ্ট লিখতাম এবং পরে নিজের স্ক্রিপ্টেই উপস্থাপনা শুরু করেছি।
বেশ শ্রোতাপ্রিয় কয়েকটি গানে গীতিকবি আপনি। অনুভূতি কেমন?
-অনুভূতি তেমন সুখকর নয়। ওই যে বললাম, শ্রোতারা গান শোনেন, গীতিকবিকে চেনার প্রয়োজন মনে করেন না। আসলে আমার সৃষ্টি নিয়ে মাতামাতি হবে, আমি অবহেলিত থাকবো, আমি অতটা উদার কিংবা প্রচারবিমুখ নই।
নাটক রচনার ব্যাপারে আপনার ভাবনা কী?
-আমি অনেক কিছুই পারি না। তবে ভালো গল্প বুনতে জানি। আর নাটকের ক্ষেত্রে গল্পটা খুব জরুরি। তাই আমার নাটক-ভাবনা খুব ইতিবাচক এবং আমি মনে করি, একসময় গল্পনির্ভর নাটকের প্রতিই দর্শকের সমস্ত মনযোগ ধাবিত হবে।
শাকিব খানের বিয়ে কান্ডকে কীভাবে দেখেন?
-শাকিব খানের বিয়েকাণ্ডকে একেবারেই একটা হুলস্থুল হিসেবে দেখি। আর তারকাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভক্ত এবং অ-ভক্তরা হুলস্থুল করবেন, এটাই স্বাভাবিক।
মিডিয়ার নারীদের প্রতি ‘বিশেষ পক্ষপাতিত্ব’ পায় বলে অভিযোগ আছে। আপনার কী মত?
-এই প্রশ্নটার জবাব বিস্তারিত দিতে চাই না। তবে আমি যদি উপস্থাপনার জায়গাটার কথা বলি, শুধু এইটুকু বলবো, উপস্থাপনায় ছেলেদের জায়গা শতকরা ১০ ভাগ। বাকি ৯০ ভাগই মেয়েদের। আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়েছেন।
আপনার সৃষ্টিশীলতার মূল উদ্দেশ্য কী?
-আমার মৌলিক ভাবনাগুলোকে মৌলিক লেখার অবয়বে উপস্থাপন করা। বিগত সময়ে আমি কোনো অমৌলিক লেখা লিখিনি। ভবিষ্যতে যদি লিখি, তাহলে ধরে নিতে হবে আমার সৃষ্টিশীলতা ফুরিয়ে গেছে। আমি ফুরিয়ে গেছি।
মিডিয়ায় কাজের পরিবশে ও পেশাগত দিকটা কেমন?
-মিডিয়ায় কাজের পরিবেশ অত্যন্ত সংগ্রামময়। মোটকথা লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। লড়াই করার সামর্থ্য থাকবে না তো মিডিয়াও আপন হবে না। লড়াই করার সামর্থ্য থাকবে না তো মিডিয়ায় পেশাদার হয়ে ওঠা যাবে না। আজীবনই বলতে হবে ‘আমি শখের বশে কাজ করি’।
কখনো নায়ক হবার ইচ্ছে জেগেছিলো?
-নায়ক হওয়ার ইচ্ছে জাগেনি। তবে অভিনয় করার ইচ্ছে আছে। নায়ক চরিত্রে না হলেও অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। মিডিয়ার মানুষদের কেউ কেউ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে। এর কী কারণ বলে আপনার মনে হয়? শোবিজের মানুষদের অনেকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে যদি দেখে, তবে তাদের কারো কারো মাত্রাতিরিক্ত মিথ্যাচার, লুকোচুরি, বেফাঁস মন্তব্য ইত্যাদি অভ্যাস বা আচরণের কারণেই দেখে। এমনিতে এই মানুষগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের অসীম আগ্রহ এবং অগাধ শ্রদ্ধা।
শোবিজের উদ্দেশ্য কেবল মন জোগানো নাকি জাগানোও?
শোবিজের উদ্দেশ্য মন জাগানো তো বটেই। তবে জোগানোও। দর্শকের মনই যদি না পেলাম, তাহলে এত এত গান প্রকাশ করে কী হবে, নাটক-সিনেমা বানিয়ে কী হবে? আত্মতৃপ্তি? দর্শকদের পছন্দের কথা ভেবে না বানিয়ে যদি আত্মতৃপ্তির জন্য বানান, তাহলে প্রকাশ বা প্রচার কেন করবেন? নিজের আলমারিতে রেখে দিলেই হয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
