ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অষ্টম শ্রেণি : গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

সরওয়ার হোসেন
🕐 ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০১৯

প্রশ্ন : চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : বিজ্ঞানের যে কয়টি শাখা দ্রুত উন্নতি করেছে চিকিৎসাবিজ্ঞান তার মধ্যে অন্যতম। তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসেই এখন চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা সম্ভব। তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে ডাক্তাররা আর অনুমানের ওপর নির্ভর করে না। একজন রোগী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার শরীর সূক্ষ্মভাবে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় জরুরি।

আর এ কাজটি করা যায় প্রযুক্তির সাহায্যে। শুধু তা-ই নয়, প্রাপ্ত তথ্যগুলো ভবিষ্যতে প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ডাটা বেইসে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। যখন কোনো ওষুধের প্রেসক্রিপশন করতে হয়, সেটাও তথ্য-প্রযুক্তির কারণে সঠিক হয়। চিকিৎসার প্রয়োজনে নতুন নতুন যন্ত্রপাতিও তৈরি হচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তির কারণে অন্য মাত্রার গবেষণা সম্ভব হয়েছে। আগে শুধু রোগের উপসর্গ কমানো হতো, এখন সত্যিকারভাবে রোগের কারণটিই খুঁজে বের করে সেটিকে অপসারণ করা হবে।

শুধু তাই নয়, এখন যে রকম সব মানুষ একই ওষুধ খায়, ভবিষ্যতে প্রত্যেক মানুষের জন্য আলাদা করে তার শরীরের উপযোগী ওষুধ তৈরি হবে। এমনকি ভবিষ্যতে হাজার মাইল দূরে থেকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্জনরা রোগীর অপারেশন করতে পারবেন। তাই বলা যায়, চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান অপরিসীম।

প্রশ্ন : কর্মসৃজন ও কর্মপ্রত্যাশীদের কাজের সুযোগপ্রাপ্তিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কী ভূমিকা পালন করে বলে তুমি মনে করো?
উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।

এর বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো স্বয়ংক্রিয়করণ ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাবে; কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে কিছু কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে বা বেশ কিছু কাজের ধারা পরিবর্তন হলেও অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

শুধু কর্মসৃজন নয়, কর্মপ্রত্যাশীদের কাজের সুযোগ প্রাপ্তিতেও ইন্টারনেট ও তথ্য-প্রযুক্তির বড় ভূমিকা রয়েছে। আগে যেকোনো ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নোটিশ বোর্ড, বড় বড় সরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে সেঁটে দেওয়া হতো। আইসিটি ও ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে বর্তমানে ইন্টারনেটে জবসাইট নামে নতুন এক ধরনের সেবা চালু হয়েছে। এসব জবসাইটে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি তাদের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে পারে। এ ছাড়া এরূপ কোনো কোনো সাইটে কর্মপ্রত্যাশীরা নিজেদের নিবন্ধিত করে রাখতে পারে।

প্রশ্ন : ‘সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা’-
উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজনেই শিখে নিচ্ছে। প্রযুক্তির বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো স্বয়ংক্রিয়করণ ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বিকাশের এ ধারায় দেখা গেছে কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে, বেশ কিছু কাজের ধারায় পরিবর্তন এসেছে।

তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রতি এক হাজার ইন্টারনেট সংযোগের ফলে নতুন ৮০টি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। বিপজ্জনক অনেক কাজ শ্রমিকরা যন্ত্র দিয়ে করায় বিভিন্ন কারখানায় নানা রকম কাজের জন্য রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

এসব যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ মানুষই করে থাকে। এতে সময় বাঁচে। কাজ নিখুঁত ও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এর কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযুক্তি।

সিনিয়র শিক্ষক
সাতারকুল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper