ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

মোস্তাফিজুর রহমান
🕐 ৬:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০১৯

গণতান্ত্রিক মনোভাব
প্রশ্ন : বাড়িতে এমন দুটি কাজের কথা উল্লেখ করো যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উত্তর : বাড়িতে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে অপরের মতামত শোনা প্রয়োজন। বাড়িতে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এমন দুটি কাজের কথা নিচে উল্লেখ করা হলো- * আমরা বাড়িতে যে খাবারটি খেতে চাই।

প্রশ্ন : কর্মক্ষেত্রে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়?
উত্তর : গণতন্ত্রের অর্থ জনগণের শাসন। আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকম কাজ করি। এসব কাজ করতে আমাদের অনেক সময় নানারকম সিদ্ধান্ত নিতে হয় অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং সম্মান করাকে বলে গণতান্ত্রিক মনোভাব। বাড়িতে, বিদ্যালয়ে, কর্মক্ষেত্রে সর্বত্রই গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়। নিচে কর্মক্ষেত্রে যেভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়। যেমন : * কর্মক্ষেত্রে সর্বস্তরের সহকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। * ফলে সবাই গণতন্ত্রের গুরুত্ব বুঝতে পারবে ও নিজেদের মত প্রকাশে উৎসাহিত হবে।
* সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা আরও ভালোভাবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।
সুতরাং, কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি কাজেই সবার মতামতের মূল্যায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়।
প্রশ্ন : তোমার পাড়ায় গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : গণতন্ত্র বলতে জনগণের শাসন বা মতামতকে বুঝায়। বাংলাদেশ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে পাড়ায়-পাড়ায় আজানের সঙ্গে বেজে ওঠে শঙ্খ ঘণ্টার ধ্বনি। এখানে বিভিন্ন ধর্ম, পেশার মানুষ একত্রে মিলেমিশে বসবাস করি। পাড়ায় বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত থাকা সত্ত্বেও আমরা একে অন্যের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে থাকি। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষের যুক্তিসঙ্গত মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
* পারস্পরিক সহনশীলতার মাধ্যমে অধিকাংশের মতামতের প্রতিফলন থাকে বলে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। সর্বক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
* পাড়ার শান্তিশৃঙ্খলা বিরাজ করে।
* পাড়ায় মতভেদ কমে আসে।
* পাড়ার উন্নয়ন ঘটে।
* পাড়ার সবার মধ্যে সদ্ভাব থাকে।
* পাড়ায় সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে ওঠে।
* পাড়ায় সবার অংশগ্রহণে স্কুল, কলেজ, রস্তাঘাট, মসজিদ, মাদরাসা, বাজার ইত্যাদি গড়ে ওঠে, বৃক্ষরোপণসহ নানা সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাড়ার জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উন্নয়ন ঘটে। * পাড়ায় গণতান্ত্রিক মনোভাব শক্তিশালী হয়। গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হয়। * গণতান্ত্রিক মনোভাব শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য। গণতন্ত্র মানুষকে মতপ্রকাশের সুযোগ দেয়।

আমরা বাড়ি, বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, কর্মক্ষেত্রে সব জায়গায় গণতান্ত্রিক আচরণ করব। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব ও পরস্পরের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব। তাই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় শক্তশালী ও মজবুত করার জন্য, গণতন্ত্রের সুফল বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার পাড়ায় গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন।

মোস্তাফিজুর রহমান
সাবেক শিক্ষক, ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper