ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি একচোখা নীতি কাম্য নয়

সম্পাদকীয় ডেস্ক
🕐 ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২২

র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি একচোখা নীতি কাম্য নয়

বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞার ফেলার মাধ্যমে কূটনৈতিক শিষ্টাচার কতটুকু রক্ষিত হচ্ছে সে প্রশ্ন থেকেই যায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালেও যুক্তরাষ্ট্র এমন মোড়লিপনা দেখিয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি খবর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্বের স্বনামধন্য ১২টি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে র‌্যাবকে নিষিদ্ধের দাবিতে একটি চিঠি দিয়েছে জাতিসংঘে। তবে এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়ে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশ করে খোলা কাগজ। তাতে বলা হয়, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। সংস্থাগুলো এমন দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ পিয়েরে ল্যাকরোইক্সকে চিঠি দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই চিঠির বিষয়টি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

চিঠিতে এই এক ডজন মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিভাগের উচিত র‌্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করা। চিঠির সঙ্গে র‌্যাবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলেছে, র‌্যাবের কিছু কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। চিঠিতে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার আগে একটি যাচাই পদ্ধতি চালু করা উচিত, যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতনের অভিযোগও তদন্ত করে দেখা হবে।

গত বৃহস্পতিবার ডিসি সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের এনকাউন্টারের (বন্দুকযুদ্ধ) ঘটনা না ঘটে। যখন সন্ত্রাসীরা অস্ত্র তুলে কথা বলে, তখন পুলিশ বাহিনী তো চুপ হয়ে বসে থাকতে পারে না। তখনই এ সমস্ত ফায়ারিং-এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। আর এগুলোর সবই যদি এলিট ফোর্স র‌্যাবের ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি এটা অবিচার হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি সব সময় বলে আসছি, যদি পেছনের দিকে তাকান, র‌্যাব কখন তৈরি হয়েছিল, যারা র‌্যাব তৈরি করেছিল তারাই এখন র‌্যাবকে অপছন্দ করছে, নানা ধরনের অপপ্রচার করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র‌্যাব যে ভালো কাজ করছে সেগুলো তারা তুলে ধরছে না। র‌্যাব যে মাদকের বিরুদ্ধে, ভেজাল দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে, সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করল, চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে, তারা সব সময় জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের জন্য কাজ করছে- সেসব কথা তারা কখনো তুলে ধরে না। তারা নানা ধরনের মানবাধিকারের কথা বলে। র‌্যাব ভালো কাজ করছে। যারা র‌্যাব তৈরি করেছিল তারাই এর বিরোধিতা করছে। দাবার গুটি যেখান থেকেই পরিচালিত হোক না কেন, একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীকে এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রক্রিয়া সমর্থনযোগ্য নয়। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন অপ্রত্যাশিত।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper