ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কৃষকের পাশে থাকলেই মিলবে সমাধান

সম্পাদকীয়
🕐 ১২:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২০

আলুসহ শাক-সবজি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার চড়া এখন। খাবি খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকায় সংসার চালাতে হয় যাদের তারা পড়েছে গ্যাঁড়াকলে। সমাধান কখন, কীভাবে হবে জানা যাচ্ছে না। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারী ও চলতি বছরে কয়েক দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক। এর প্রভাব পড়েছে চাল, আলু, সবজির বাজারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দামও আকাশচুম্বী। দামের লাগাম টেনে ধরতে মূল্য নির্ধারণের পরও অদৃশ্য সিন্ডিকেট মানছে না আদেশ। বাজারের চিন্তায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারি নজর এখন দরকারি খাতগুলোতে। আসন্ন রবি মৌসুমের দিকে বিশেষ খেয়ালের কথাও জানা গেছে।

রবি ফসলের উৎপাদন বাড়ানো গেলে সামলে ওঠা যেতে পারে ধাক্কা, বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ মৌসুমকেন্দ্রিক সরকার কয়েকটি পুনর্বাসন কর্মসূচিও নিচ্ছে বলে গত বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। বোরো ধানের বীজে কেজি প্রতি ১০ টাকা হারে ভর্তুকি আসছে। অন্যদিকে আগামী বছর হাইব্রিড বোরো চাষ করার জন্য ১০০ কোটি টাকা চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আর আউশ-আমনের কাক্সিক্ষত ফলন না আসায় চলছে চাল আমদানির পরিকল্পনা। তবে দেশে খাদ্যের হাহাকার হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী। মহামারীর কারণে চাষাবাদে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। আবার উজানের ঢলে কয়েক দফা বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের খেত। সবজি ও অন্যান্য ফসলও নষ্ট হয়েছে।

কৃষক যাতে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে না পড়ে সেদিক ভেবেই পরিকল্পনা সাজানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। এদিক ভেবে তিনি বলেছেন, পুনর্বাসন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। আমরা রবি ফসলে ব্যাপক পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়েছি। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য হাইব্রিড বোরোর বীজ আরও বেশি করে বিনামূল্যে চাষিদের দেওয়া হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর দুই দফা বন্যায় দেশের ৩৪ জেলায় দেড় লাখ হেক্টরের বেশি ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। প্রথম ধাপে ২৮টি জেলার প্লাবিত এলাকায় প্রায় ৩৪৯ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি নিরূপণ করেছিল অধিদপ্তর। আশ্বিনের শেষভাগেও দেশের কিছু কিছু এলাকায় ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। এ বছর আউশের জন্য ২ লাখ হেক্টর জমি টার্গেট ছিল।

আমন নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কৃষিমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে যদি কিছু ঘাটতিও হয়, যদি আমনের বেশি ক্ষতি হয়ে যায়, হারভেস্ট করতে না পারি, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে কিছু চাল আনাও লাগতে পারে। সেটা আমরা এখনও কিছুই বলতে পারছি না। আরও ১৫-২০ দিন পরে বোঝা যাবে আমনের উৎপাদন কী হবে। তবে উঁচু জমিতে বোনো আমন ধানের আবাদ ভালো হবে এমন আশায় কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন খাদ্য ঘাটতি না হওয়ার বিষয়। বিদ্যমান পরিস্থিতি উত্তরণের বড় পন্থা হতে পারে, কৃষকের পাশে থাকা। চাষাবাদের ভালোমন্দ দেখভাল করা। নতুন ফসল উঠলে স্বাভাবিকভাবেই কমে আসবে দ্রব্যমূল্য। বর্তমান সংকট সামাল দেওয়ার পাশাপাশি নিতে হবে দীর্ঘ পরিকল্পনা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper