ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে

সম্পাদকীয়
🕐 ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০

খাদ্যে ভেজাল আর নকল পণ্য যেন আমাদের নিয়তি। এসব রোধে বা প্রতিরোধে সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তবে সেসব প্রতিষ্ঠানকে খুব একটা সক্রিয় হতে দেখা যায় না। এরইমাঝে দু’একটি ঘটনার ফলে মানুষ বুঝতে পারে তাদের ‘ভাল-মন্দ’ দেখভাল করার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান আছে তারা ঘুমিয়ে নেই। তাদের বিক্ষিপ্ত অভিযান আর অভিযানকালে ভেজালখাদ্য বা নকল ওষুধ বেচার দায়ে জড়িতদের সাজা-শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি আমাদের মনে আশার বীজ বপন করে।

গত বৃহষ্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানকালে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম। ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ডায়াপার, সস বিক্রি করায় এই জরিমানা করা হয়। 

এসব অপরাধে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এক হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে সহজে দৃশ্যমান কোনো স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার বিধান থাকলেও আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা সহজে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করা হয় না। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির বিষয়টি নতুন কোন সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। ওষুধের মত স্পর্শকাতর দ্রব্যের ক্ষেত্রে কোনভাবেই হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য দোকানিকে দণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি যে কোম্পানির ওষুধ বিক্রি হচ্ছিল বিষয়টি তাদের নজরে আনাও জরুরি, কেন না এ ধরনের ওষুধ হয়তো অন্য হাজারো দোকানে বিক্রি হচ্ছে। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে জানানো হলে তারা সার্বিকভাবে এ ধরণের ওষুধ ও পণ্য বাজার থেকে তুলে নিতে পারেন।

বাজারে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর বিষয়টি আমাদের দেশে প্রায়ই মৌসুমী বিষয়ে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন ধরেই দেখা গেছে পবিত্র রমজান মাসে এ ব্যাপারে সক্রিয় হয়ে ওঠে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও দফতরগুলো। এছাড়া কোন দ্রব্যের দাম অতিরিক্ত বাড়লে বা বাজারে যোগান কমে গেলে তার কারণ খুঁজে বের করতে অভিযান চালানো হয়। তবে আমরা মনে করি এটা কোন মৌসুমী বিষয় বা তাৎক্ষণিক তৎপরতা হওয়া উচিত নয়। বাজারে সরকারের নজরদারি প্রতিদিনই থাকতে হবে।

আইনের ব্যত্যয় যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঘটায় তদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সাজা-শাস্তি দিতে হবে। মানুষ ওষুধ কিনে আনে অসুখ সারানোর জন্য, এখন সেই ওষুধই যদি অসুখের কারণ হয়ে ওঠে তা হবে খুবই আতঙ্কের বিষয়, তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রেও কঠোর হতে হবে। অতিরিক্ত দাম ও ভেজাল ওষুধ ও খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার হবে এটাই কাম্য।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper