ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বন্যায় মলিন ঈদ আনন্দ

বানভাসিদের পাশে দাঁড়ান

সম্পাদকীয়
🕐 ৮:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৫, ২০১৯

পবিত্র ঈদুল আজহা পালনের আর কয়েক দিন বাকি। এরই মধ্যে ডেঙ্গুর প্রভাবে কাতর দেশবাসী। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যে পরিমাণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দেখভালে ডেঙ্গুর প্রভাবে ভাটা পড়েছে। মশাবাহিত এই রোগে রেকর্ড এবং মৃত্যুর ঘটনায় বানভাসি মানুষ অনেকটাই তালিকার বাইরে চলে গেছে। অথচ মজুদ করা শস্য, জমানো টাকা বন্যায় খরচ করে পুনরায় জীবন বাঁচাতে লড়াইয়ে নেমেছেন ভুক্তভোগী বিপুলসংখ্যক মানুষ। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে তাদের দিকে লক্ষ্য রাখাও মানবিক দায়িত্ব।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন বলছে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া পানি কমে বন্যাকবলিত জেলাগুলোর ডুবে যাওয়া বসতভিটা, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, অবকাঠামো জেগে উঠছে। এ পরিস্থিতিতেই ডেঙ্গু ছাড়াও পানিবাহিত রোগ এবং খাবারের জোগান নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বানভাসিরা। দেশব্যাপী ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় ত্রাণ এবং সরকারি প্রণোদনায়ও ভাটা পড়েছে। কিন্তু তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এবার বন্যায় বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে দেশ তথা দেশের মানুষ। এখন তাদের পুনর্বাসনেও নজর দিতে হবে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে। তা ছাড়া, মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

একদিকে মশা নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের মানুষ। অন্যদিকে, বানভাসিরা খুঁজছে প্রয়োজনীয় খাদ্য, বাসস্থান এবং জীবন বাঁচানোর নিরাপত্তা। ভুলে গেলে চলবে না, তারাও ডেঙ্গুর বাইরে নেই। অর্থাৎ ডেঙ্গু এবং বন্যা; উভয় সংকটে আছে বন্যাকবলিত মানুষগুলো। প্রায় ২৬ দিন পর দেশের সব নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে সবার। কিন্তু আসন্ন ঈদ এবং তার পালন নিয়ে চিন্তায় ক্ষতিগ্রস্তরা। এরই সঙ্গে এনজিওর কিস্তির বোঝা তো থাকছেই।

সব মিলিয়ে বন্যা, ডেঙ্গু-ঈদ নিয়ে এক বিরূপ পরিস্থিতি উত্তরণের পথে দেশ। একদিকে যেমন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ দরকার, তেমনি বানভাসিদেরও সাহায্যের আওতায় রাখতে হবে। সরকারি ভাণ্ডার থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা দিতে হবে তাদের। ঈদের আনন্দে সহায়তার হাত প্রসারিত করে ব্যক্তি এবং সামাজিক উদ্যোগ নিয়েও তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোনোভাবেই যেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা হেলাফেলার শিকার না হন সে খেয়াল রাখতে হবে সরকার পক্ষকেই। ডেঙ্গু এবং বন্যা যেন ঈদের আনন্দ মাটি না করে সেজন্যও ব্যাপক প্রস্তুতি দরকার। মনে রাখতে হবে, সরকারি-বেসরকারি উভয় পক্ষ সমন্বিত উদ্যোগ নিলে যেকোনো বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper