ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গাজীপুরে অটোরিকশায় চাঁদাবাজি

নেপথ্যে ট্রাফিক পুলিশ

তানজেরুল ইসলাম, গাজীপুর
🕐 ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯

গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজিতে মেতেছে। এ চাঁদাবাজির নেতৃত্বে আছেন মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশনের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) রফিক এবং তার অন্যতম সহযোগি টিআই সিরাজুল। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশায় টোকেন দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কয়েকজন ট্রাফিক সার্জেন্ট চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।

যশোরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রফিক বিগত দিনে যশোরে বেশ কয়েকবছর টিএসআইয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তৎকালীন বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে বিপুল অর্থ বৈভবের মালিক বনেছেন তিনি। যশোর শহরের অদূরে মুরলিপাড়া এলাকায় তিনি বাড়ি করেছেন। এছাড়া যশোর কতোয়ালি থানার পাশেই বহুতল ভবন, শহরের মাছ বাজার আড়তে মার্কেটসহ বহুতল ভবন, শহরের আরএম রোডে মার্কেটসহ বহুতল ভবনের মালিক টিআই রফিক। যশোরে একসময়ের সমালোচিত টিএসআই রফিক জিএমপি ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের গুরু দায়িত্ব পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সিএনজি মালিক-চালকরা।

অনুসন্ধান বলছে, গাজীপুর মহানগরে প্রায় এক হাজার সিএনজি চলাচল করছে। বিআরটিএ বিধি মতে,‘গাজীপুরের সিএনজিগুলো মেরুন রঙের হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ সিএনজি সবুজ রঙের। এতেই পোয়া বড় হয় মেট্রো ট্রাফিক বিভাগের। নগরীতে মাসোহারা করা সিএনজিগুলোতে মালিক সমিতির স্টিকার সাঁটানো হয়েছে। আগামী মার্চ মাস থেকে সিএনজিপ্রতি মাসোহারা আটশ থেকে বেড়ে নয়শ টাকা হবে বলে সিএনজি মালিক সমিতি জানিয়েছে।

অনুসন্ধান আরও বলছে, গাজীপুরের উপজেলাগুলো থেকে নিত্যদিন শতশত সিএনজি অটোরিকশা গাজীপুর মহানগরে প্রবেশ করছে। উপজেলার এসব সিএনজিগুলো মহানগরে মাসোহারা না করায় ট্রাফিক পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালকরা। ইতোমধ্যে মহানগরে চলাচলকারী সিএনজিগুলোর জন্য মাসে তিন লাখ ৬০হাজার টাকা ধার্য করেছে মালিক সমিতি। পরে মাসোহারার টাকা মালিক সমিতির মাধ্যমে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগে। এ চাঁদাবাজিতে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের অন্যতম সহযোগি মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল।

অন্যদিকে নগরীর টঙ্গী জোনে বসে নেই ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) সিরাজুল। এ ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টঙ্গী জোনের অন্তত পাঁচটি স্ট্যান্ড থেকে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ করেছে এসব স্ট্যান্ড সংশ্লিষ্ট ও পরিবহন শ্রমিকরা।

গাজীপুর মহানগর সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল জানান, ‘তার সমিতির সদস্যরা একত্রিত হয়ে চাঁদা দিচ্ছে। পরে সেই চাঁদা মাসোহারা হিসেবে তিনি ট্রাফিক পুলিশ বিভাগকে দিচ্ছেন।’ টিআই রফিক জানান, ‘তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা। যশোরে তার কোন বাড়ি নেই। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ।

টিআই সিরাজুল জানান, ‘টঙ্গী জোনে পরিবহন সেক্টরে কেউ চাঁদাবাজি করছে কি না তিনি জানেন না। তার বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, সিএনজিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সঠিক নয়। তিনি এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন। ‘তবে চন্দনা চৌরাস্তায় সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে পরিবহন শ্রমিকদের স্বার্থে চাঁদা তোলে ওই সেক্টরের লোকজন।

 
Electronic Paper