লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের আরো তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদা দাবি ও হত্যার ঘটনায় আলাদা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে দুপুরে অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা পাটওয়ারী ও জহির উদ্দিন বাবরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। নুরুল হুদা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি।বাবর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
থানা পুলিশ জানায়, অভিযান চালিয়ে রামগতি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ মোল্লা, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্বাস হোসেন ও রামগঞ্জ উপজেলার রাব্বানিয়া কামিল মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট আকন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরমধ্যে ওয়ারেছ ও আব্বাসকে ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় রামগতি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া সম্রাটকে রামগঞ্জ থানার মারধর ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তবে তারা কেউ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নয়। অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা এলাকায় আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনার মামলায় ওয়ারেছ ও আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত বলেন, ‘ওয়ারেছ ও আব্বাসকে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, ‘সম্প্রতি একটি মারধর ও চাঁদা দাবি মামলা হয়। এতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা সম্রাট সম্পৃক্ত রয়েছে। এতে পৌরসভার কাজিরখীল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
কেকে/ এমএস