গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শালীস বৈঠকের মাঝেই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বুধবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদে শালিস কক্ষে এ হামলা চালানো হয়। এতে নারীসহ একই পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়েছে।
হামলার পর গুরুতর আহত সিরেকুল ইসলামকে প্রথমে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অন্যান্য আহতরাও সাঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ।
ভুক্তভোগী শামছুন নাহার খাতুন (৪৭) সাঘাটা থানায় দায়ের করা এজাহারে জানা যায়, দীর্ঘদিনের জমি বিরোধের জেরে স্থানীয় চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর আহ্বানে উভয় পক্ষ শালীসে উপস্থিত হন। বৈঠক চলাকালে আসামি আফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ জন উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন।
এ সময় প্রতিবন্ধী সিরেকুল ইসলাম, আশিকুল ইসলাম ও সন্তান সাব্বির হোসেন প্রতিবাদ জানালে আসামিরা লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পর শামছুন নাহার বাদী হয়ে আফিজুর রহমান, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদ, রফিকুল ইসলামসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে ৩ ডিসেম্বর বুধবার পশ্চিম কচুয়া এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, শিরিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির হাসান সরদার, কল্পোনা বেগম, আশিকুর রহমানসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী ঠোট কাটা মাসুদ ও মাদক সম্রাট রফিকুল বাহিনীর দ্বারা আমাদের ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলসহ হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আমাদের হামলা চালিয়েছে তারা। বক্তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাছির উদ্দীন বলেন, “ঘটনাটি সত্য। আসামিদের মধ্যে যারা এলাকায় আছে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। দু’একজন পলাতক রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, “মামলা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব নাছির উদ্দীনকে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কেকে/লআ