মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি বেসরকারি কোম্পানির কারখানার ফর্কলিফ্টের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়ায় রশ্মি পলি ফাইবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মারজিয়া খাতুন (৩২) উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের তেপাড়া এলাকার আকরাম আলীর স্ত্রী। নিহত নারী চার মেয়ে ও এক ছেলের মা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মস্থলে কাজের সময় হঠাৎ একটি চলন্ত ফর্কলিফটের নিচে পিষ্ট হয়ে ওই নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরো এক নারী ও চালক আহত হয়েছেন। আহতদের সহকর্মীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।
দুর্ঘটনার পরপরই প্রতিষ্ঠানের ভেতর ও আশপাশ এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সহকর্মী শ্রমিকরা দুর্ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ি করে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের স্বামী আকরাম আলী বলেন, আমি আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলে-মেয়ে এতিম হয়ে গেছে। তাদের ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চাই।
রশ্মি পলি ফাইবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের এজিএম শাকিল বলেন, আজকে সকালে দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃতুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়টি অবশ্যই সবার আগে আসবে। এটা চিন্তা করতে করতেই আমাদের যে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। এই ক্ষতিটাও দুঃখজনক। আমরা নিহতের পরিবারকে বলেছি কোনো চিন্তা না করতে তাদেরকে সর্বাত্মক ক্ষতিপূরণ দেবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবের কর্মকর্তাসহ আমরা এসে কোম্পানির ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেছি। তারা প্রকাশ্যে সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন যে কর্মী তাদের নিহত হয়েছেন। তাদের পলেসি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ক্ষতিপুরনের ব্যবস্থা করবেন।
ঘটনার পারিপার্শ্বিক যে অবস্থা ঘটেছে এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
কেকে/লআ