মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আয়োজনে এ কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট অংশ নেন।
অর্ধদিবস কর্মবিরতির কারণে এ সময়ে স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বিশেষ করে এক্স-রে, ল্যাব, প্যাথলজি, ডেন্টাল ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রোগীদের উল্লেখযোগ্য ভোগান্তি পোহাতে হয়।
কর্মবিরতি চলাকালে বক্তব্য রাখেন ফার্মাসিস্ট মো. মাহবুবুর রহমান, ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট রিফাত পাঠান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আশাদুল ইসলাম সবুজ, ফার্মাসিস্ট খোকন পাটোয়ারী, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং টেকনোলজিস্ট সাজ্জাদুল ইসলাম মিলন, প্যাথলজি বিভাগের সোলাইমান হোসেন, ফার্মাসিস্ট ফারুক মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা-পূর্ব সময় থেকে শুরু হওয়া পেশাগত যাত্রায় ৩১ বছর ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা ১০ম গ্রেডের ন্যায্য দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু একের পর এক দাপ্তরিক জটিলতা, কোয়ারি, কমিটি পরিবর্তন ও প্রশাসনিক বিলম্বের কারণে আজও তাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। একই সমযোগ্যতার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমাধারী, নার্স ও কৃষিবিদরা ১০ম গ্রেড পেলেও টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা এখনো ১১তম গ্রেডে আটকে আছেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, রেডিওথেরাপি, প্যাথলজি, ফিজিওথেরাপি, ডেন্টালসহ চিকিৎসা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ নির্ণয় কার্যক্রমে টেকনোলজিস্টদের ভূমিকা অপরিহার্য। একইভাবে ফার্মাসিস্টরা ওষুধ সংরক্ষণ, বিতরণ, মাননিয়ন্ত্রণ, স্টোর ব্যবস্থাপনা এবং চিকিৎসাসেবা নির্বিঘ্ন রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তবুও তাদের ন্যায্য গ্রেড দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে, যা অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্য।
বক্তারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়ায় পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে ৪ ডিসেম্বর সারাদিনব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালিত হবে। তারা দ্রুত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান এবং দাবি আদায় না হলে সারাদেশে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
কেকে/লআ