পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ ধুংরী হেডম্যান পাড়া এলাকা থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে উপজেলা সদর ও থানার মোড় প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর পর সেখানে দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালি ও আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন, বাইশারী ইউনিয়ন জেএসএসের সভাপতি এবং জেএসএস নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক জনাব নিউ হ্লা মং মারমা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী ফোরামের সভাপতি বুবু রাখাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জেএসএস সভাপতি মং মং মার্মা, কক্সবাজার আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মং থোয়াইহ্লা রাখাইন, উপজেলা জেএসএস সাধারণ সম্পাদক সুমেন তঞ্চঙ্গ্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ তঞ্চঙ্গ্যা, এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন জেএসএস সভাপতি ও নির্বাচনী সমন্বয়ক মং বাশৈ তঞ্চঙ্গ্যা।
বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ১৮০–২০০ জন উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি চলাকালে নেতাকর্মীরা “জ্বালো জ্বালো আগান জ্বালো—ভূমি অধিকার দিতে হবে”, “শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই”—এমন নানা স্লোগান দেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শান্তিচুক্তির ২৮ বছর পার হলেও এর পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি—কোনো সরকারই আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্তরিক ছিল না। নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে হলে আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভাপতি নিউ হ্লা মং মারমা বলেন, “পাহাড়ের মানুষ শান্তি চায়, উন্নয়ন চায়। কিন্তু শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বহু সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।”
প্রধান অতিথি বুবু রাখাইন বলেন, চুক্তির ধারাগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি আসবে না। তাই সরকারের প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই।
বক্তারা সবাই পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের ঐক্য বজায় রাখতে ও ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই র্যালি ও আলোচনা সভা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
কেকে/লআ