তিন দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া আজ মঙ্গলবার ও পরীক্ষাও বর্জন করেছেন তারা। এতে স্বাভাবিক পরীক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার ঘণ্টা বাজলেও শ্রেণিকক্ষে সহকারী শিক্ষকরা অনুপস্থিত। তারা অফিস কক্ষে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান থেকে তারা কোনো পরীক্ষার দায়িত্ব নেয়নি।
বিকল্প ব্যবস্থায় পরীক্ষার দায়িত্ব প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরিদের ওপর পড়ে গেছে। কোথাও দপ্তরি না থাকায় একাই সামলাতে হচ্ছে প্রশ্ন ও খাতা বিতরণ, পরিদর্শন এবং খাতা সংগ্রহের মতো সব কাজ।
এতে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছেন প্রধান শিক্ষকরা। চতলাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আমি এবং দপ্তরি মিলে পরীক্ষা নিতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু সহকারী শিক্ষক ছাড়া এ কাজ করা সম্ভব নয়। সহকারী শিক্ষরা বিদ্যালয়ের প্রাণ।
উপজেলার নয়াভাঙ্গুনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহার আনসারী বলেন, প্রথম শিফটের পরীক্ষা নেওয়া হলেও সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষার্থীরা ফিরে গেছে।
কর্মবিরতিতে থাকা ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিমন আনসারী বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের আন্তরিকতা ও ভালবাস আছে। সরকার আমাদের দাবি না মানলে আমরা ক্লাসরুমে ফিরবো না।
চলমান কর্মবিরতির কারণে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও। তাদের আশঙ্কা-এই পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ জানান, সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতির মধ্যেও বার্ষিক পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী পরীক্ষা চলবে।
কেকে/ এমএস