জামালপুরের মাদারগঞ্জে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্য ও বালিজুড়ী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের আহ্বায়ক মো. শরিফ উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে, একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও বহাল রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নবী কারী।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ খবরে উপজেলা জুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
এমন এক সময়ে—যখন সারা দেশে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নেতা-কর্মীরা দোয়া মাহফিলে ব্যস্ত— ঠিক তখন এমন অসামাজিক কার্যকলাপে স্থানীয় নেতাদের সম্পৃক্ততা প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষের মনে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে তারতা পাড়া গ্রামের তাঁতি লীগ সভাপতি শাহাদৎ হোসেন সবুজের বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে—এমন সন্দেহে কয়েক তরুণ দরজায় ডাকাডাকি করেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দরজা খুলে বের হন নুর নবী কারী ও শরিফ উদ্দিন। এ সময় শরিফ উত্তেজিত হয়ে তরুণদের ওপর চড়াও হন। পরে তরুণরা ভিডিও করতে করতে ঘরে ঢুকলে সেখানে দুইজন নারীকে বসে থাকতে দেখা যায়। শরিফ বারবার ভিডিও বন্ধ করতে নিষেধ করে এবং একপর্যায়ে বাইরে গিয়ে এক তরুণকে মারধর করেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বালিজুড়ী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিনকে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক ও অসাংগঠনিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার জাহিদ মাখন ও সাধারণ সম্পাদক মো. খাদেমুল ইসলাম।
তবে, একই ভিডিওতে নুর নবী কারীকে দেখা গেলেও তার বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে সমালোচনা।
এ বিষয়ে অব্যাহতি পাওয়া শরিফ উদ্দিন বলেন, “আমার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নবী কারী। তাঁতি লীগ নেতার এক আত্মীয় থানায় মামলা করবে—তা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। কে বা কারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।”
অন্যদিকে নুর নবী কারী দাবি করেন, “ভিডিওতে আমার ছবি এডিট করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রতন বলেন, ‘ভিডিওটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে দলীয়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/এমএ