সিরাজগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন ছানুর নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভাঙচুর ও মারপিটের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা। পরে বিএনপির নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে দুই ঘণ্টা পরে অবরোধ প্রত্যাহার।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শহরের নিউ ঢাকা রোডের চামড়া পট্টি মোড় এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী এই অবরোধ ছিল। এদিকে সড়ক অবরোধের ফলে শহরজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী।
এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, সিরাজগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন ছানুর নেতৃত্বে গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় মটরসাইকেল যোগে প্রায় ২০/২৫ জনের একটি দল সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক ও কাভ্যার্ড শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে ঢুকে হিসাব রক্ষক মোকলেছুর রহমান, প্রধান সহকারি কামাল হোসেন, অফিস সহকারী জেলহক ভুট্টকে বেধরক মারপিট করে। এছাড়াও তারা অফিসের চেয়ার ভাঙচুর করে তছনছ করে ফেলে দিয়ে যায়।
অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে শ্রমিকরা বলেন, এই বিচার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলবে। পরে বেলা ১২ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন। পরে শ্রমিকরা তাদের অবরোধ তুলে নেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক ও কাভ্যার্ড শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আকমল হোসেন বলেন, অতর্কিতভাবে বিএনপি নেতা সানোয়ার হোসেন ছানুর নেতৃত্বে ট্রাক ও কাভ্যার্ড শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে হামলা-ভাঙচুর করার ঘটনায় বিচার দিতে কালক্ষেপন হওয়ায় আজকের এই অবরোধের ঘটনাটি ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে এই ঘটনার সুষ্ঠু মিমাংশা দেওয়া আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান তালুকদার বলেন, আজ বিকাল ৫টার মধ্যে সুষ্ঠু বিচার না পেলে আগামীকাল থেকে সিরাজগঞ্জ শহর অচল করে দেওয়া হবে। কোন প্রকার যানচলা চল করতে দেওয়া হবে না।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ট্রাক ও ট্যাংলরী মালিক গ্রুপের সভাপতি মুন্সি জাহিদ আলম বলেন, এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার সঠিক বিচার না হলে মালিক-শ্রমিক যৌথ এই কর্মসূচিতে অংশ নিবে। তবে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সাধারণ শ্রমিকদের সঠিক বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ প্রত্যহার করে নেন।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. মোফাখখারুল ইসলাম জানান, অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি মীমাংসার জন্য। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কেকে/এআর