ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার এই আবেদনের বিরোধিতা করে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ইসরায়েলিরা। বিরোধী নেতারাও এতে যোগ দেন।সংবাদমাধ্যম
টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, দুর্নীতির মামলায় নেতানিয়াহুর ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদনকে ঘিরে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ করেছেন ইসরায়েলিরা। তেল আবিবে হওয়া রোববারের এই বিক্ষোভে অংশ নেন বিরোধী আইনপ্রণেতারাও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, নেসেট সদস্য নাআমা লাজিমিসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা হারজগকে নেতানিয়াহুর ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভকারীরা এসময় ইসরায়েলের চলমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করেন।
এদিকে বহু বছর ধরে চলা নিজের বিচার শেষ করার জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর এই ক্ষমার আবেদন ইসরায়েলে তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বিরোধী নেতা ইয়ায়ির লাপিদও আহ্বান জানান, নেতানিয়াহু অপরাধ স্বীকার না করলে এবং রাজনীতি থেকে অবসর না নিলে প্রেসিডেন্ট যেন কোনওভাবেই তাকে ক্ষমা না করেন।
এর আগে ৭৬ বছর বয়সী নেতানিয়াহু রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন জমা দেন। তবে সেখানে কোনও অপরাধ স্বীকার করেননি তিনি। অথচ ইসরায়েলি আইনে ক্ষমাপ্রাপ্তির আগে অপরাধ স্বীকার করা বাধ্যতামূলক।
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, হারজগ এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মতামত নেবেন। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব সুদূরপ্রসারী হওয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পক্ষে তিনি। নেতানিয়াহু অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, চাইলে বিচার প্রক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত যেতে পারতেন, তবে ‘জাতীয় স্বার্থের’ বিবেচনায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।
এর আগে গত নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট হারজগকে অনুরোধ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় হারজগ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ক্ষমার জন্য তার কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিতে হবে।
কেকে/এআর