জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের গিলাকুড়ী গ্রামে পাঁচ বছর বয়সী নাঈম নামে এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড।
সন্দেহের ভিত্তিতে শিশুটির সৎ মা জাহানারা বেগমকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নাঈমের জন্মের এক বছর পরই তার আপন মা মারা যান। এরপর শিশুটিকে দেখাশোনার জন্য নাঈমের বাবা খলিলুর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন জাহানারা বেগমকে।
স্বজনদের অভিযোগ, সকালে নাঈম খাবার চাইলে সৎ মা জাহানারা ক্ষিপ্ত হয়ে শীল-পাটা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। পরে শিশুটিকে বাথরুমে ফেলে রেখে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা শিশুটিকে দেখে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ বাড়িতে আনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জাহানারাকে একটি ঘরে আটক করে পুলিশে খবর দেন।
আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গণেশ চন্দ্র বলেন, “শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রকৃত কি ঘটনা তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।”
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)মোমিনুল ইসলাম জানান, “এ ঘটনায় সৎ মা কে থানায় নিয়ে এসেছি, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
গ্রামজুড়ে এখন শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পাঁচ বছরের নিষ্পাপ নাঈমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়। পুলিশের তদন্তে প্রকাশ পাবে শিশুটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
কেকে/লআ