বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিতে মুনতাছির মেহেদী হাসানকে আহ্বায়ক, মাসুদ রানাকে সদস্যসচিব, সালমান জোয়ারদারকে মুখ্য সংগঠক ও রাজিয়া ভূঁইয়া রাজিতাকে মুখপাত্র করে ২০৪ জনের কমিটি করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ, মুখ্য সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা একটি পত্রে আগামী ৬ মাসের জন্য এ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
কমিটিতে আশিককে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক, ইয়াসির আরাফাত ইশানকে সিনিয়র যুগ্ম-সচিব, মাসুম আনামকে সিনিয়র মুখ্য সংগঠক ও সাদিয়া আহমেদ সিনহাকে সিনিয়র সহ-মুখপাত্র করা হয়েছে।
এছাড়া ২৭ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, ১৩ জনকে যুগ্ম-সদস্যসচিব, ২২ জনকে যুগ্ন-মূখ্য সংগঠক, ৬০ জনকে সংগঠক, ১০ জনকেসহ-মুখপাত্র ও ৬৪ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর করা পত্রে ২৮৪ জনবিশিষ্ট জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তাতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব, ইকবাল হোসেন রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়েছে।
কমিটি ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি স্থগিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। পরবর্তী ২৮ ফেব্রুয়ারি কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৭২ জন জনবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব, ইকবাল হোসেনকে মুখ্য সংগঠক ও টি এম মুশফিককেই মুখপাত্র করা হয়েছিল।
পরে ২৭ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটি বাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত করা হয়। গত ৩ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন।
কেকে/এমএ