যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলা উপকূলে মাদকবিরোধী অভিযানে সন্তুষ্ট। সোমবার (২৪ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট। তিনি বলেন, ‘এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্যারিবীয় সাগরে ২০টির বেশি নৌকা ডুবিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি। ওয়াশিংটনের দাবি, মাদকবিরোধী অভিযানের লক্ষ্যেই এসব হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
এবার, এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ঘোষণায় কার্টেল দে লস সোলেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, এই নেটওয়ার্কে আছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। তারা মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত। যদিও এসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এমন অভিযোগকে হাস্যকর ও অস্তিত্বহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভেনেজুয়েলা সরকার। ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বলেন, ‘মাদক বাণিজ্যের মূল রুট ইকুয়েডর হলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে ভেনেজুয়েলাকে নিশানা বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’
মাদুরোও এটিকে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে সতর্কতা ও সামরিক মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ বাড়তে থাকায় নতুন ধাপের অভিযানের গুঞ্জন আরও জোরালো হচ্ছে। পুয়ের্তো রিকোর রুজভেল্ট রোডস ঘাঁটিতে বিমান জড়ো করা এবং সম্প্রতি সেনা মোতায়েন সংকেত দিচ্ছে সম্ভাব্য বড় ধরনের পদক্ষেপের।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা এলেও সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি নেই।’ তবুও পেন্টাগন বলছে, ‘এতে নতুন সব বিকল্প খোলা হয়েছে।’
কেকে/এমএ