বাংলাদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়া বিভিন্ন এলাকায় অনুভূত হয়েছে ৫ দশমিক ৩ মাত্রা এবং ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প।
রোববার (২৩ নভেম্বর) মিয়ানমারের পাশাপাশি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও। তবে কোনও ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে অনুভূত এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল দাওই শহরের পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে ২৬৭ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উত্তর মালুকু প্রদেশের হালমাহেরা এলাকায়ও আঘাত হেনেছে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থা (বিএমকেজি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ এলাকায় অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিতই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বাংলাদেশজুড়ে যে ৫.৭ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছিল, তার পরবর্তী কম্পন বা আফটারশকই আজকের কম্পনের কারণ হতে পারে।
কেকে/ এমএস