রাজধানীসহ সারাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শেরেবাংলা ফজলুল হক হলটির পশ্চিমদিকের একটি ব্লক কিছুটা হেলে পড়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এক ভয়ংকর ভূমিকম্পে ওই ঘটনা ঘটে।
হলের একটি অংশ হেলে পড়ার পাশাপাশি হলের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে এবং খসে পড়েছে। এসময় আতংকে রুমের বাইরে বেরিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা।
তাৎক্ষণিক ঝুঁকিপূর্ণ হল থেকে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে হল পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও হল প্রভোস্ট। এসময় রাকসু'র এজিএস সালমান সাব্বিরও উপস্থিত ছিলেন। হলের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে জুমার নামাজের পর হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন তাঁরা।
উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘ আজকে যা দেখলাম হলের অবস্থা খুবই খারাপ। জুমার নামাজের পর আমরা ভিসি স্যারের সাথে কথা বলব, এরপর আমরা দেখি কী সিদ্ধান্ত জানানো যায়।
শেরে বাংলা ফজলুল হক হল সংসদের ভিপি মো. রানা হোসাইন বলেন, ‘ হল নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক রিপোর্ট টেকনিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরেজমিনে এসে দেখে গিয়েছেন আমরা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এক পরিবেশে বসবাস করছি। ভূমিকম্পে হল বিল্ডিং হেলে গিয়েছে সেটা আমাদের সুস্পষ্ট আরো সতর্ক বার্তা যে এই হলে আর বসবাসের মত কোন পরিবেশ নেই। যত দ্রুত আমরা এখান থেকে স্থানান্তর হতে পারব সেটাই আমাদের জন্য ভালো হবে। তবুও কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। আপনারা কি চান ২৫০/৩০০ জন শিক্ষার্থীর লাশ হয়ে বের হোক, তারপর আপনাদের টনক নড়বে।,
এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ভূমিকম্পের পর আমরা পরিদর্শনে গিয়ে অসংখ্য নতুন ফাটল দেখতে পেয়েছি। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। জুম্মার নামাজের পর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর শেরে বাংলা ফজলুল হক হল পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের কোথায় স্থানান্তর করা হবে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি।
কেকে/লআ