জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোজাজাল্লা গ্রামের সম্ভাবনাময় মেয়ে লোবা আক্তার জাতীয় কাবাডি অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার অসাধারণ সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পুরো ইসলামপুর ও তার পরিবার। একজন মেয়ে এবং দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও নানান প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে বর্তমানে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন লোবা।
পরিবারের তৃতীয় মেয়ে লোবা আক্তারের বাবা উজ্জ্বল মন্ডল ও মা মর্জিনা খাতুন সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি গভীর টান ও ভালোবাসা ছিল লোবার বিশেষ করে বাংলাদেশর জাতীয় খেলা কাবাডির প্রতি। পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলন, কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মনিবেদনই তাকে আজকের এই উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অনার্স করছেন।
২০২২ সালে প্রতিভা, অধ্যবসায় ও দৃঢ় মনোবলের প্রমাণ রেখে লোবা আক্তার সুযোগ পান জাতীয় কাবাডি দলে। এরপর থেকে বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতায় তিনি ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
লোবা আক্তার দেশের হয়ে বিদেশের মাটিতেও একাধিক ম্যাচ খেলেছেন। বর্তমানে তিনি আনসার দলের হয়ে এশিয়া কাপে অংশ নিচ্ছেন। তার এই অর্জন শুধু তার পরিবার নয়, পুরো ইসলামপুর ও জামালপুরবাসীর গর্বের বিষয়।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবির আহম্মেদ বিপুল মাস্টার বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু, একসময় গ্রামবাংলার মাঠে ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে নানা আধুনিক খেলার ভিড়ে ঐতিহ্যবাহী খেলাটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে কাবাডির হারানো জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি ফুটবল ও ক্রিকেটের মতো কাবাডিকেও পেশাগতভাবে আকর্ষণীয় করে তোলা। যাতে তরুণ প্রজন্ম এই খেলায় ক্যারিয়ার গঠনে আগ্রহী হয়।
স্থানীয় ক্রীড়া অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ বলেন, লোবার সাফল্য আমাদের জন্য গর্বের । লোবা আক্তারের এই সাফল্য নতুন প্রজন্মকে কাবাডির প্রতি আরও আকৃষ্ট করছে। তার অর্জনে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ইসলামপুর ও জামালপুরের তরুণীরা। ইসলামপুরের লোবা আক্তার আজ সারা বাংলাদেশের গর্ব।
কেকে/লআ