সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ-জৈন্তাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। এখন পর্যন্ত দলীয়ভাবে কাউকে আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
তবে ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, তাকে সিলেট-৪ আসনের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আরিফের এমন ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তারা এলাকায় প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একযোগে মিছিল করেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মিছিল থেকে তারা স্লোগান দেন— “মানি না মানবো না, লোকাল ছাড়া মানি না, হেলাল ছাড়া মানি না।” বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, তারা সিলেট-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিন আহমদকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।
এদিকে হেলাল উদ্দিন আহমদকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে বৃহত্তর সালুটিকর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ। তারা বলেন, সিলেট ৪ আসনের জনগণ বহিরাগত কোনো প্রার্থীকে চায় না, স্থানীয় নেতাদের দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান তারা।
অন্যদিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল হাকিম চৌধুরীর সমর্থকরাও প্রতিদিনই আরিফুল হকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবি, আরিফ সিলেট-৪ আসনের ‘বহিরাগত’, তাই এই আসনে ‘লোকাল’ প্রার্থী প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে জন্ম নেয়া আরিফুল হক চৌধুরী দীর্ঘদিন সিলেট বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ছিলেন এবং দুইবার সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সিলেট নগরের স্থায়ী বাসিন্দা।
বিক্ষোভের মধ্যেও আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। রোববার তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী বলেন, “আমি নিজেও এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। যাকে দল মনোনয়ন দেবে, আমরা সবাই মিলে তার পক্ষে কাজ করব।”
কেকে/ আরআই