ফাঁকিবাজি করেই আগে কোটাধারীরা চাকরি পেত বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
রোববার (৯ নভেম্বর) দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) টিএসসিতে দুপুর ১২টায় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, “আগে যাদের কোটা ছিল তারা ফাঁকিবাজি করেই চাকরি পেতেন। অন্যদিকে হলে বড় ভাইদের দেখতাম দিনরাত পরিশ্রম করে পড়াশোনা করছে। কিন্তু তারা চাকরি পেত না। যারা পড়াশোনা না করে সারাদিন ঘুরে বেড়াতো, ফাঁকিবাজি করতো তারা কোটার সুবিধা ব্যবহার করে ভালো ভালো সরকারি চাকরি পেত।”
তিনি বলেন, “যেখানে মেধাবী এবং পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের শ্রম বৃথা যেত। এই বিষয়টি অত্যান্ত পীড়াদায়ক। সেই মানস থেকে কোটা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ি। ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে কোটা আন্দোলন শুরু হয়। আমি দেখেছি শহিদুল ফাহিমের নেতৃত্বে তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়েও নিয়মিত কোটা আন্দোলন হতো। ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের যে বীজ বপন হয়েছিল ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী হাসিনাকে উৎখাত করার মাধ্যমে তার পরিপূর্ণ ফসল বাংলাদেশের ছাত্র জনতা ঘরে তুলতে পেরেছেন। আমরা সে সময় সামান্য কয়েকজন কোটা আন্দোলন করতাম। সেইটা দেখে অনেকেই সাহস পেয়েছে, প্রেরণা পেয়েছে। আগামীতে ইনশাআল্লাহ দেশের তরুণ সমাজই তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ফাহিম, হাবিপ্রবি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. রিপন, হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ বার্নাড দাস, সদস্য সচিব মো. ফরহাদ ইসলাম, ইসলামি ছাত্র শিবির হাবিপ্রবি শাখার সভাপতি মো. রেজোয়ানুল হক, সাধারণ সম্পাদক শেখ রিয়াদ, বৈষম্যবিরোধী হাবিপ্রবি শাখার আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন তপুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা।
কেকে/এজে