দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) গবেষণাভিত্তিক আয়োজন ‘স্কলার সামিট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে হাবিপ্রবি গবেষণা সংসদের আয়োজনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
হাবিপ্রবি গবেষণা সংসদের সভাপতি মোছা. ইশরাত ফারজানা আরশীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস এম এমদাদুল হাসান, প্লান্ট প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মহিদুল হাসান, ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন বিভাগের প্রফেসর ড. মারুফ আহমেদ এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল কালাম।
কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ফারুক হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম শিকদার বলেন, “গবেষণার মাধ্যমেই আমাদের বাস্তবিক জ্ঞানের প্রকাশ ঘটে। গবেষণার মূল লক্ষ্যই হলো সমস্যার সমাধান করা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও গবেষণা ভূমিকা রাখে। আমাদের শিক্ষার্থীরা গবেষণার জন্য যে আগ্রহ নিয়ে কাজ করছে তা সত্যি অনেক ভালো লাগার। নিশ্চয় শিক্ষার্থীরা তাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে একজন সত্যিকারের গবেষক হবেন।”
উপস্থিত শিক্ষকরা বলেন, “আজকে হাবিপ্রবি গবেষণা সংসদের আয়োজনে স্কলার সামিটের সুন্দর আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের গবেষণা বিষয়ক কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গবেষণার বিষয়ে জানতে পারবে। কিভাবে গুণগত মানের গবেষণা করতে হয় এবং গবেষণা পত্র লিখতে হয় সে বিষয়ে ধারণা লাভ করলেই তারা ভালো মাপের গবেষক হতে পারবে। আর কেবল গবেষণার মাধ্যমেই নিজেদের সর্বোত্তম জ্ঞানের স্বাক্ষর রাখা যায়।”
তারা আরও বলেন, “আমরা যত উন্নতমানের গবেষণা করবো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় তত এগিয়ে যাবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের গুণগত মানের গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থান করে নিবে। আমরা ভালো গবেষণা করলে কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে হাবিপ্রবি ভালো করবে।”
শিক্ষার্থীরা জানান, “হাবিপ্রবি গবেষণা সংসদের এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা প্রত্যেক্ষ জ্ঞান লাভ করছি, কিভাবে পেপার প্রেজেন্টেশন দিতে হয়, পোস্টার প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। আজকের আয়োজনের মাধ্যমে বেশকিছু বাস্তবিক জ্ঞান লাভ করেছি যা গবেষণা পত্র লিখতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে ভালো গবেষক হওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
পুরস্কার বিতরণীর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভবনের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদে ওরাল প্রেজেন্টেশন এবং পরে অডিটোরিয়াম-১ এ পোস্টার প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
স্কলার সামিটে পোস্টার প্রেজেন্টেশনে প্রথম স্থান অর্জন করেন প্রফেসর ড. মো. মহিদুল হাসান ও পিএইচডি শিক্ষার্থী মো. শরিফুল ইসলাম। তাদের গবেষণার বিষয় ছিল—“আপ স্কেলিং ট্রাইকোডার্মা বেজড বায়োফানজাইসাইড ফর দ্য বায়ো-রেশিওনাল ম্যানেজমেন্ট অব উইল ফর দ্য সেইফ প্রোডাকশন।”
পেপার প্রেজেন্টেশনে প্রথম স্থান অর্জনকারীরা হলেন—বোর্ড-এ: কার্বন বেজড ন্যানোম্যাটেরিয়ালস ইন এগ্রিকালচার ইমপ্রুভিং সয়েল রেমিডিয়েশন অ্যান্ড প্রোডাক্টিভিটি; বোর্ড-বি: ইমপ্যাক্ট অব গ্রীন ব্যাংকিং অন দ্য প্রফিট্যাবিলিটি অ্যান্ড এনপিএল অব ব্যাংকস: এভিডেন্স ফ্রম প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ; বোর্ড-সি: ইমপ্যাক্ট অব ল্যাকটোব্যাসিলাস ইন্ট্রোডাকশন অন দ্য ফিজিকোকেমিক্যাল, মাইক্রোবায়াল স্ট্যাবিলিটি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একটিভিটি অ্যান্ড সেন্সরি প্রোপার্টিজ অব শ্রেডেড ক্যারট পিকলস ডিউরিং রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ।
এতে মোট ৫৪টি দল অংশ নেয়। স্কলার সামিটে স্পন্সর ছিল রূপালি ব্যাংক লিমিটেড, রিসার্চমেট ও উত্তরণ। এছাড়া মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল দৈনিক খোলা কাগজ ও বাহান্ন নিউজ।
কেকে/ আরআই