জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট বিষয়ে সৃষ্ট মতানৈক্য রাজপথের কর্মসূচি দিয়ে মীমাংসা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যা নিরসন হয়েছে, এখন রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের পথে তা সমাধান করা যাবে না। জবরদস্তি বা চাপ প্রয়োগ করে এই মতপার্থক্যের নিরসন করা যাবে না। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যেখানে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিন একইসাথে গণভোটে অনুষ্ঠানে মত দিয়েছে, সেখানে সরকারেরও এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।’
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকালে পার্টির নির্বাচন সংক্রান্ত উপকমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজনৈতিক দলসমূহের সাধারণ মতৈক্যের উপর ভিত্তি করে সংকট উত্তরণে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক সভায় বলেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের অদূরদর্শীতায় রাজনীতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত উত্তেজনা ও বিভেদ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের প্রজ্ঞার অভাবে এই প্রশ্নে বিভেদ ও অনৈক্য আরও বেড়েছে। সরকার নিজেদের দায় এড়িয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে বল ছুড়ে দিয়েছে।’
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বোঝাপড়া না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে টাকার খেলায় পর্যবসিত না হয়, নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে সন্ত্রাস, পেশীশক্তি ও প্রশাসনিক ম্যানিপুলেশান বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ১৭ বছর ধরে মানুষ উৎসবমুখর যে নির্বাচনের অপেক্ষা করছে, তাকে কোন দিক থেকে ঝুঁকির মধ্যে নিক্ষেপ করা যাবে না।’
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনী প্রচারণার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয় ও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, আবুল কালাম আজাদ, যুবরান আলী জুয়েল, জামাল সিকদার, ফিরোজ আলী, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ রিয়েল, চুন্নু সিকদার, মাহমুদ উল হাসান খান, গোলাম রাজিব, আরিফুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, ওসমান কবির, মাহমুদুল হাসান, সিদ্দিকুর রহমান, হরিলাল দাস, মোহাম্মদ সৈকত, নান্টু দাস, শিবু মোহান্ত।
কেকে/ এমএ