মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ‘প্রবাসী বাংলাদেশি প্রিমিয়ার লীগ ২০২৫’। বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি প্রিমিয়ার লীগ আয়োজনের চেষ্টা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এবারের আসরে দুটি গ্রুপে মোট ৬টি বিভাগের দল অংশগ্রহণ করছে। এ গ্রুপে ঢাকা বিভাগ, সিলেট বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগ এবং বি গ্রুপে চট্টগ্রাম বিভাগ, খুলনা বিভাগ ও রংপুর বিভাগ। অংশগ্রহণ করেনি বরিশাল বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগের দল।
দুটি গ্রুপ নিজেদের মধ্যে এক অপরের বিপক্ষে ১টি করে ম্যাচ খেলবে এবং দুটি গ্রুপে থেকে বিজয়ী ও রানার্সআপ দল সেমিফাইনাল খেলবে। গ্রুপ পর্বে মোট ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় দুবাইয়ের ইরানি ক্লাবের মাঠে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় খুলনা বিভাগ মুখোমুখি হবে রংপুর বিভাগের এবং রাত ১২টায় দ্বিতীয় খেলায় সিলেট বিভাগ মুখোমুখি হবে রাজশাহী বিভাগের।
আগামী ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগ মুখোমুখি হবে রংপুর বিভাগের এবং চতুর্থ খেলায় ঢাকা বিভাগ মুখোমুখি হবে রাজশাহী বিভাগের। ২২ নভেম্বর পঞ্চম খেলায় খুলনা বিভাগ মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম বিভাগের এবং শেষ ম্যাচে ঢাকা বিভাগ মুখোমুখি হবে সিলেট বিভাগের।
এছাড়া আগামী ২৯ নভেম্বর সেমিফাইনাল ও ৬ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশী প্রিমিয়ার লীগ আয়োজক কমিটির অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ নওশের আলী বলেন, ‘আমাদের টুর্নামেন্টের স্লোগান হল ‘ইউনাইটিং কমিউনিটি টুগেদার’। আমাদের লক্ষ্য হলো একটি ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটি এবং এই কমিউনিটিকে পজিটিভভাবে এই দেশে তুলে ধরা।
‘ফুটবল এমন একটি স্পিরিট যার আবেগ আবেদনে এই আমিরাতের নাগরিকরাও আচ্ছন্ন। ফুটবল আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব গভীর করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই টূর্নামেন্ট আমাদের কমিউনিটির যুবকদের আকৃষ্ট করেছে এবং এদের উৎসাহই আমাদের প্রেরণা। এটি শুধু একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট নয়, একটি কমিউনিটি ইভেন্ট হয়ে উঠলে আমরা খুশি হবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে, এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে দুবাই পুলিশ আমাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলারদের নিয়ে ইতোমধ্যেই ছয়টি বিভাগ নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছে। টিমের খেলোয়াড় ও কোচদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
প্রবাসীরা মনে করছেন, খেলাধুলা ছেড়ে যারা অল্প বয়সে প্রবাসের মাঠিতে এসেছেন, তাদের জন্য এটা সুবর্ণ সুযোগ। সবার অংশগ্রহণে খেলার মাঠে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রবাসে থেকেও দেশের ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা থেকে এ আয়োজনকে তারা দেখছেন এক প্রাণবন্ত প্রয়াস হিসেবে।’
প্রবাসের মাটিতে এ ফুটবল খেলার আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি তরুণ ও প্রতিভাবান ফুটবলারদের একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া এবং তাদের মাঝে দেশীয় ফুটবলের আবেগ আরও দৃঢ় করা—এমনটাই বলছেন বাংলাদেশি ক্রীড়া সংগঠকরা।
কেকে/এমএ