জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হুদা চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন বাহারি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি নুরুল ইসলাম হেলালী।
বক্তারা বলেন, “এই মেলা পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি অর্থনীতিতে চাকা সচল করবে। এখানে আগত পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মেলা ঘিরে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তার আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাফর, মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ আবু, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম লিটনসহ সংশ্লিষ্টরা। পরে অতিথিরা মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।
এবারের মেলা ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ প্রস্তুতির পর মেলার কর্মযজ্ঞ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রবেশপথে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাবে রাজকীয়ভাবে নির্মিত নান্দনিক গেইট। এবারের মেলায় থাকছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ১৫০টি স্টল এবং দেশীয় প্রসিদ্ধ কোম্পানির ২২টি প্যাভিলিয়ন— যার মধ্যে প্রিমিয়ার, সাধারণ ও মিনি প্যাভিলিয়ন, শিশুদের রাইডস ও খাবারের দোকানসহ নানা আয়োজন দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করবে।
মেলা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ আবু ও সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম লিটন জানান, এবার অনেক ক্ষেত্রে মেলায় বেশ ভিন্নতা এসেছে। চারপাশে স্থাপন করা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত কক্সবাজারের শহীদদের স্মৃতি ফলক। এছাড়া টুইস্ট, লেম্ববাম্বু, নাগরদোলা, নৌকা, কার বাম্পার, ওয়াটার বোট, ওয়াটার বল, ট্রেন, জাম্পিং স্লিপার, কার রেসিংসহ শিশুদের জন্য মেলায় বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আনা হয়েছে উন্নতমানের ব্যতিক্রমী হরেক রকমের রাইডস।
মেলায় অংশ নিয়েছে আরএফএল, ভিশন, ওয়াকার, কিয়াম, ইটালিয়ানো, কম্পী, হোম টেক্সটাইল ও ইরানী গোল্ডসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড। মেরিন সিটি মেগামার্টে পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় সব পণ্য, আর অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন জোন নারীদের জন্য এনেছে সাশ্রয়ীমূল্যের কসমেটিকস ও পোশাক।
এছাড়া খাবারেও এসেছে ভিন্নতা— দই ফুসকা এবারের বিশেষ আকর্ষণ। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে সিলেটের বিখ্যাত রূহানী আচার, জাদু প্রদর্শনী, অস্থায়ী নামাজ আদায় কেন্দ্র ও শৌচাগারের ব্যবস্থা।
কেকে/ আরআই