কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পর ভক্তরাদের মনে একটাই প্রশ্ন ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবেন কি মেসি? এবার নিজেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, সত্যি বলতে বিশ্বকাপে খেলা এক অসাধারণ অনুভূতি। আমি সেখানে থাকতে চাই। আর যদি থাকি, তাহলে জাতীয় দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চাই।
তবে আগের মতো এবারও সতর্ক ভঙ্গিতে কথা বলেছেন ইন্টার মায়ামির এই তারকা। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নির্ভর করবে তার শারীরিক ফিটনেসের ওপর।
মেসি বলেন, আগামী মৌসুমে ইন্টার মায়ামির হয়ে প্রস্তুতি শুরু করার পর প্রতিদিন নিজের অবস্থা দেখব- আমি শতভাগ ফিট কি না। যদি শরীর সাড়া দেয়, তবে অবশ্যই বিশ্বকাপে থাকতে চাই। আমরা আগেরবার শিরোপা জিতেছি, সেটি ধরে রাখার সুযোগ পাওয়া অসাধারণ হবে।
এর আগেও বেশ কয়েকবার বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন মেসি। গত সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক বিরতির সময় তিনি বলেছিলেন, সবকিছু নির্ভর করছে আমি কতটা ফিট থাকি তার ওপর। যখন ভালো থাকি, তখন ফুটবল উপভোগ করি। কিন্তু শরীর সাড়া না দিলে আনন্দ পাই না। তাই ভালো না লাগলে থাকতে চাই না।
২০২৫ মৌসুমে ইন্টার মায়ামির হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছেন মেসি। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়মিত মৌসুমে ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে তিনি প্রথমবারের মতো জিতেছেন এমএলএস গোল্ডেন বুট। পাশাপাশি এমএলএস এমভিপি (সর্বোচ্চ মূল্যবান খেলোয়াড়) পুরস্কারের ফাইনালিস্টও হয়েছেন। এই পুরস্কার জিতলে তিনিই হবেন প্রথম খেলোয়াড়, যিনি টানা দুই মৌসুমে এমভিপি জিতবেন।
বর্তমানে মেসির লক্ষ্য ইন্টার মায়ামিকে এমএলএস কাপ জেতানো। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ন্যাশভিলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৩-১ গোলে জিতেছে মায়ামি। আগামী ২ নভেম্বর ভোরে প্লে-অফের দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতলেই নিশ্চিত হবে সেমিফাইনাল।
সবশেষে মেসি বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। মৌসুম শেষ করব, প্রাক-মৌসুমে প্রস্তুতি নেব। তখন ছয় মাস বাকি থাকবে বিশ্বকাপের। তারপর দেখা যাবে আমি কেমন অনুভব করি। আশা করছি ফিট থাকলে জাতীয় দলের হয়ে আবারও বিশ্বমঞ্চে নামার সুযোগ পাব।
কেকে/এআর