নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি পৌরসভায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে ব্যবসায়ী আবুল কাশেমকে ইটের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবেদ ভূঁইয়া বাড়ির মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে, তবে আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছে।
আবুল কাশেম আবেদ ভূঁইয়া বাড়ির দুধ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন সোনাইমুড়ি গ্রামের হাবিবুল্লাহ ডাক্তার বাড়ির মাইনউদ্দিন, মাইনউদ্দিনের ছেলে রাকিব, জমাদার বাড়ির আবুল খায়ের মাস্টার।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত রোববার (১৯ অক্টোবর) আবেদ ভূঁইয়া বাড়ির মসজিদের সামনে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ করে জমাদার বাড়ির খায়ের মাস্টারের সঙ্গে ফরহাদের কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সালিশ বসার কথা ছিল। তা না হওয়ায় পুনরায় খেলতে যায় ফরহাদ। পরে রাহাত, সজীব ও জসিমের সঙ্গে ফরহাদের কথা কাটাকাটির একপর্যায় তাকে কিলঘুষি মারতে থাকে তারা। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আবুল কাশেম ও তার ছেলে সোহাগ বাধা দেয়, মুহূর্তের মধ্যে আবুল খায়ের মাস্টারসহ ৩০-৪০ জন কাশেম ও সোহাগের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। খায়েরের ছেলে আনোয়ার, ফারুক, জাহাঙ্গীরসহ ৮-১০ জন ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে কাশেমের মৃত্যু নিশ্চিত করে।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে কাশেমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া থানায় কাশেমের ছেলে বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছে।’
কেকে/ এমএ