দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ঘুষ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ফটিকছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদর আবারও আগের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি ফটিকছড়ি শিক্ষা অফিসে যোগদান করেন।
বিষয়টি জানাজানি হতেই শিক্ষক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষক ও সংগঠনের নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
সূত্র জানায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তাকে আপিল নিষ্পত্তির পর পূর্বের কর্মস্থলে সাময়িকভাবে যোগদান করতে হয়েছে। পরবর্তীতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় তাকে অন্যত্র বদলি করা হতে পারে বলেও জানা গেছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ফটিকছড়ির বেড়াজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তারের কাছ থেকে বদলির বিনিময়ে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুদক কর্মকর্তারা আজিমেল কদরকে হাতে নাতে গ্রেফতার করেন। পরদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ১৫ জুন চট্টগ্রামের আদালত তাকে ঘুষ গ্রহণের দায়ে আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন। পরে আজিমেল কদর উচ্চ আদালতে আপিল করলে তা গৃহীত হয় এবং দুদকের অভ্যন্তরীণ সভায় মামলায় পুনরায় আপিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই তিনি পুনরায় ফটিকছড়িতে যোগদান করেন।
এই পুনর্বহালে ক্ষুব্ধ প্রাথমিক শিক্ষক নেত্রী রহিমা বেগম বলেন, একজন শিক্ষকের অভিযোগে যিনি দুদকের হাতে গ্রেফতার হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তিনি কীভাবে আবার সেই একই পদে যোগ দিতে পারেন! এটা শিক্ষক সমাজ মেনে নিতে পারছে না। আমরা অবিলম্বে তার প্রত্যাহার দাবি করছি, না হলে কঠোর আন্দোলনে নামব।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদর বলেন, আলোচনা-সমালোচনা থাকতেই পারে। আমি আদালতের প্রতি সম্মান রেখে যোগদান করেছি। শিক্ষক সমাজকে আইন-আদালত জানতে ও বুঝতে হবে। পরে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে যা হবার তাই হবে।
কেকে/ আরআই