কক্সবাজারে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে অনন্য অবদান রেখে যাচ্ছেন চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ইউনিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত “নতুন কুঁড়ি মেধাবৃত্তি পরীক্ষা। চকরিয়া উপজেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
গেল বছরের ন্যায় এ বছরেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও সুনামের সাথে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ও বিকালে উপজেলার সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একযোগে এই বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়।
পরীক্ষার কেন্দ্র সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরেও দুইটি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সকালে প্রথম ধাপের পরীক্ষার মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণি, তৃতীয় শ্রেণি ও ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হয়।
নতুন কুঁড়ি মেধা বৃত্তি পরীক্ষার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন খুটাখালী ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো। সালাহ উদ্দিন কাদের।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এলাকায় নানা ধরণের আর্থ সামাজিক নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডে কাজ করে যাচ্ছে। তার মধ্যে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীকে মেধা নির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে এ বৃত্তি পরীক্ষা অন্যতম।’
‘শিক্ষার্থীদের মেধাবী ও আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউনিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে দ্বিতীয় বারের মতো অত্যন্ত স্বচ্চতা ও সুচারুভাবে এ বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়। দিন যতো বেড়ে চলছে ততই এ বৃত্তি পরীক্ষার সুনাম উপজেলার প্রতিটি জনপদে ছড়িয়ে পড়েছে। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরেও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা তাদের সন্তান নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে যে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।’
পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘সাহারবিল ইউনিয়ন শিক্ষা দীক্ষায় অনেক এগিয়ে। এ জনপদের উচ্চ শিক্ষিত কিছু তরুণদের সমন্বয়ে এই বৃত্তি পরীক্ষা গত বার ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবারেও পরীক্ষায় আশাতীত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।’
বৃত্তি পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিব ছিলেন জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের এজিএম মোস্তফা কামাল রানা, হল সুপার ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ কর্মকর্তা লুৎফর রহমান।
পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন নতুন কুঁড়ি মেধাবৃত্তি পরীক্ষার উপদেষ্টা হাবিবুল্লাহ মুনিরী, শিক্ষানুরাগী মো. শাহাব উদ্দিন, শব্বীর আহমদ উসমানী, সাহারবিল ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়সল উদ্দিন আহমদ, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম, উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জেবুন্নেছা জামান, সাহারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক।
কেকে/ এমএ