স্থানীয়রা বলছেন, শিহাব শুধু একজন ব্যবসায়ী নন, তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা, যার উদ্যোগ ও কর্মধারা উত্তরাঞ্চলের অসংখ্য মানুষের জীবনে নতুন আলো জ্বালাচ্ছে।
এক সময়ের সবজি বিক্রেতা শিহাব আহমেদ বর্তমান সময়ের একজন সফল ব্যবসায়ী। তার জীবনের শুরুটা ছিল কঠিন সংগ্রামের। শৈশবে মা হারানো শিহাব বড় হয়েছেন নানী ও আত্মীয়দের আশ্রয়ে। অভাব-দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা শিহাব কখনও সবজি বিক্রি, কখনও ট্রাকের হেলপারি আবার কখনো রিকশা চালিয়ে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন।
২০১৪ সালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (গোল্ডেন এ+) অর্জন করেন শিহাব। পরবর্তীতে জীবিকার সন্ধানে পাড়ি জমান দেশের বাহিরে। এরপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি হয়েছেন একজন সফল ব্যবসায়ী।
শিহাব আহমেদ দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে দেশে ফিরে সমাজসেবায় মনোনিবেশ করেন। নিজের উপার্জিত অর্থ ও সময় ব্যয় করে তিনি মানুষের কল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে অর্থ, খাদ্য ও পোশাক বিতরণ ছাড়াও অভাবীদের চিকিৎসা সহায়তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা, গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ জোগাচ্ছেন।
জানা গেছে, মানবতার সেবায় তার উদ্যোগের পরিধি অনেক বড়। শিহাব আহমেদ ২৫,০০০-এরও বেশি পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, ১,০০০-এর বেশি মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ওযুখানা স্থাপন, ১৫টি মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণ, ২,০০০-এরও বেশি গরু ও ছাগল কোরবানি করে মাংস বিতরণ, করোনাকালীন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০,০০০-এর বেশি পরিবারে ত্রাণ বিতরণ, ১০টি পরিবারকে বাসস্থানের ব্যবস্থা, ১০০-এরও বেশি শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হুইলচেয়ার প্রদান, অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে সহায়তা প্রদান করেছেন।
এছাড়াও তিনি হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৮৯টি ওয়ার্ডে ২১০টি ‘শিহাব আহমেদ শিশু বিকাশ একাডেমি’ স্থাপন করেছেন। তার লক্ষ্য প্রতিটি সন্তানের শিক্ষার প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘শিহাব আহমেদ শিক্ষাবৃত্তি’ চালু রাখা।
মানবতার প্রতি দায়বদ্ধ এই সমাজসেবক বলেন, ‘মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমার হৃদয় শান্তি পায়। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটালে মনে হয়, মায়ের মুখের হাসি দেখছি।’
বর্তমানে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিহাব আহমেদ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে তিনি তাদের সমস্যা শুনছেন এবং মানবিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
কেকে/বি