শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য দ্বিতীয় শ্রেণির পদে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে প্রেষণে নিয়োগের প্রতিবাদে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের স্থায়ী কর্মচারীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান কার্যালয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে কর্মচারীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের প্রধান দাবি, অবিলম্বে প্রেষণে দেওয়া কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করে শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য পদে দ্বিতীয় শ্রেণির যোগ্য কর্মচারীকে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।
এ সময় বক্তব্য দেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. মওদুদুল করিম (বাবু), মুজাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, যে পদটি সম্পূর্ণভাবে বোর্ডের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত, সেখানে প্রেষণে প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তাদের দাবি, এটি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন করছে এবং পদোন্নতির সুযোগকে সীমিত করে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে মো. আহসান হাবিবের সমর্থকেরা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আহসান হাবীব আজ সহকারী কলেজ পরিদর্শক পদে যোগদান করতে এসেছিলেন, সেটি ১০ম গ্রেডের পদ, তিনি ৯ম গ্রেডে চাকরি করেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে, পদটি প্রথম শ্রেণির পদ নয়। এই ইস্যুতে আমাদের কর্মচারীরা বাধা সৃষ্টি করে, এই নিয়ে টেনশন তৈরি হয়। আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
তিনি আরও জানান, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ঘটনার জেরে শিক্ষাবোর্ডে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
কেকে/ আরআই