ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মুহাম্মদ জমাদ্দার ও এডহক কমিটির সভাপতি রাশেদুল হকের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, নোটিশ ও রেজিস্ট্রার খাতা টেম্পারিংয়ের ঘটনায় স্কুলের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নূর মুহাম্মদ জমাদ্দারসহ স্কুল কমিটির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলন নূর মুহাম্মদ বলেন, ‘এডহক কমিটির সভাপতি রাশেদুল হক ও একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। এমনকি তারা একটি সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করানোসহ এলাকায় আমার দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা ও স্কুলের সুনাম ভুলণ্ঠিত করার জন্য মনগড়া তথ্য দিয়ে মানহানি করার চেষ্টা করছে। রাশেদুল হক কাউকে না জানিয়ে রেজিস্ট্রার খাতা বাড়িতে নিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য টেম্পারিং করেন।’
নুর মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘কোন নিয়মনীতি ও রেজুলেশন না মেনে শোকজ করা হয়। বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়; যা মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট। সভাপতির এই কাজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীতিমালার পরিপন্থী।’
সংবাদ সম্মেলনে নুর মুহাম্মদকে জানিয়ে বক্তব্য দেন স্কুলের এডহক কমিটির সদস্য মুছা হায়দার, সাবেক সভাপতি মো. সেলিম রেজা, সাবেক সদস্য ফারুক আহমেদ, জাকির হোসেন, সাবেক সদস্য কাজল আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, এরশাদ মিয়া।
এ বিষয়ে রাশেদুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম মেনেই শোকজ করেছি। তিনি অসংখ্য অনিয়ম করেছেন। সেজন্য প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে লিখিত জবাব দিতে বলেছি। স্কুলের রেজিস্ট্রার বই সবাইকে জানিয়ে তদন্ত করার জন্য বাড়িতে নিয়েছি।’
এ নিয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক বলেন, ‘ডাকযোগ আমাকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অভিযোগ করেছেন। সভাপতি মিটিং ও রেজুলেশন না করে শোকজ করতে পারেন না। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে, তা আমরা খতিয়ে দেখব।’
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, ‘রাশেদুল হকের সাথে কথা হয়েছে। নুর মুহাম্মদ অভিযোগের বিরুদ্ধে আমাকে কিছু কাগজপত্র দেখিয়েছেন। আমরা সবকিছু যাচাই করবো। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি করব।’
বলে রাখা ভাল, গত ২১ সেপ্টেম্বর নুর মুহাম্মদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে রাশেদুল হক শোকজ করার পর থেকে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দ্বন্দ্বটি প্রকাশ্যে চলে আসে।
কেকে/ এমএ