পটুয়াখালীর দশমিনায় মা ইলিশ সংরক্ষণে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর। এসময় অবৈধ জাল ও ১৫ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ও বিকেলে পরিচালিত এই অভিযানে ৪০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট ও সুতার জাল জব্দ করে হাজিরহাট এলাকায় পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১৫ কেজি মা ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে শনিবার সকাল ও বিকেলে উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর, নৌপুলিশ ফাঁড়ি ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জেলেদের কাছ থেকে প্রায় ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট ও সুতার জাল জব্দ করা হয়। এসব জালের বেশিরভাগই মা ইলিশ নিধনের প্রস্তুতির সময় ধরা পড়ে। জব্দকৃত জাল হাজিরহাট এলাকায় পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং উদ্ধার করা ১৫ কেজি মা ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। এ সময় কোনো জেলেকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফেরদাউস জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মা ইলিশ নিধনের সময় ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এ সময় কোন জেলেকে আটক করা হয়নি। জব্দকৃত জাল পুরিয়ে ধ্বংস করা হয়। মা ইলিশ সংরক্ষণে এ অভিযান চলমান থাকবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, ২২ দিনের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় অবৈধ ভাবে মা ইলিশ নিধনের সময় অভিযান পরিচালনা করে ৪০ হাজার অবৈধ কারেন্ট ও সুতার জাল এবং ১৫ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, বেশির ভাগ জাল মাছ ধরার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জব্দ করি। এসময় কোন জেলেকে আটক করা হয়নি। পরে জব্দকৃত জাল হাজিরহাট এলাকা পুরিয়ে ধ্বংস করা হয়। মা ইলিশ বিভিন্ন মাদ্রসায় বিতরণ করা হয়। এ অভিযান নিয়মিত দিন-রাত চলবে।
কেকে/ আরআই