রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেছেন, চায়না টাকা দিক বা না দিক—আমরা তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন চাই। তিস্তা নিয়ে আর চুক্তি নয়, এবার চাই বাস্তবায়ন। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুধু সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। বিদেশি অর্থায়নের দিকে চেয়ে বসে না থেকে নিজেদের টাকাতেই এ প্রকল্প শুরু করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্বালন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ সরকারের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে তিনি আরও বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়নে পাঁচ বছর সময় লাগবে। যদি আমরা প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকা করে বাজেট বরাদ্দ করি, তাহলে ২৫ হাজার কোটি টাকায় এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে পারি। এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং উত্তরাঞ্চলীয় জনপদের আর্থসামাজিক চিত্র পাল্টে যাবে।
সামসুজ্জামান সামু আরও বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ই তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যেই প্রকল্পের উদ্বোধন দেখতে চাই। রংপুর অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণে সরকারের দিক থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
এতে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান মাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখেরুজ্জামান মিলন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, সাবেক চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ, মিজানুর রহমান লুলু, রংপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম নাজু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে বৃহত্তর রংপুরের ১০টি উপজেলার ১১টি নদীতীরবর্তী স্থানে একযোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কেকে/ আরআই