রংপুরের পীরগাছায় একটি পোল্ট্রি ফার্মে একাধিকবার চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর গভীর রাতেও চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় টর্চলাইটের আলোতে পরিচিত কয়েকজনকে দেখলেও তাদের হাতে অস্ত্র থাকায় ধরা যায়নি বলে দাবি করেন ফার্মের পাহারাদার।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. শামছুজ্জামান খাঁন গত মঙ্গলবার ৫ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগাছা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, উপজেলার কিসামত ঝিনিয়া এলাকায় অবস্থিত তার মালিকানাধীন ‘মেসার্স পীরগাছা পোল্ট্রি ফার্ম’ নামে প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় কিছু চিহ্নিত যুবক একের পর এক লোহার নেট জাল কেটে ফার্মের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর ফার্মের মালিক মো. শামছুজ্জামান খাঁন পারিবারিক কাজে ঢাকায় যান। এ সুযোগে গত ১১ অক্টোবর গভীর রাতে অভিযুক্তরা আবারও নেট জাল কেটে ঘরে প্রবেশ করে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর সময় পাহারায় থাকা সুমন মিয়া তাদের দেখে ফেলেন। এসময় তিনি চিৎকার দিয়ে পার্শ্ববর্তী লোকজন ডেকে আনতে গেলে চোরের দল পালিয়ে যায়।
এদিকে ওই ফার্মে ২১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৩টি ইলেকট্রিক মোটর, ২৫টি সিলিং ফ্যান, একটি জেনারেটর, একটি সোলার ব্যাটারি, ৫টি টিউবওয়েল, লোহার এঙ্গেল, ২টি ড্রিল মেশিন ও ওজন মাপার যন্ত্র রয়েছে। যার মুল্য ৪ লাখ টাকা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী শামছুজ্জামান খাঁন।
স্থানীয়রা জানান, ফার্মটি কিছুদিন ধরে বন্ধ থাকায় বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে।
ভুক্তভোগী শামছুজ্জামান খাঁন বলেন, কিছু অসাধু চক্র আমার ব্যবসা ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করেও চোরাই মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই এবার চোর সনাক্ত হওয়ায় থানায় এজাহার দিয়েছি।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/ আরআই