নোয়াখালীকে আলাদা প্রশাসনিক বিভাগ ঘোষণার দাবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১২টা ৩০ মিনেটে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা, উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গ্রেটার নোয়াখালী ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম, সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মো. শহিদুল ইসলাম, সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাকসুদ আলম, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া, সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন সুমন, সহসভাপতি নিজামুদ্দিন, সহসাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মো. সবুজ, ডা. বিপ্লব, সিনিয়র সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মানিকসহ সভায় একাত্মতা প্রকাশ করেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, নোয়াখালী দীর্ঘদিন ধরে বিভাগ হওয়ার যোগ্যতা রাখলেও বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক এবং প্রশাসনিক দিক থেকে নোয়াখালী পূর্ণাঙ্গ বিভাগ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। অথচ বারবার কুমিল্লাকে এগিয়ে এনে নোয়াখালীর প্রতি অবিচার করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, নোয়াখালী বিভাগ হলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, বাড়বে সেবা সহজপ্রাপ্তি। জনগণের দীর্ঘদিনের আশা পূরণে সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
বক্তারা আরো বলেন, নোয়াখালী জেলা ও এর আশপাশের ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ পুরো দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল বহু বছর ধরে প্রশাসনিক অবকাঠামোর দিক থেকে পিছিয়ে আছে। সরকারি দফতরগুলোর বেশিরভাগই চট্টগ্রাম বা ঢাকায় কেন্দ্রিক, ফলে স্থানীয়দের নানা প্রশাসনিক কাজে দূরে যেতে হয়। এতে সময়, অর্থ ও শ্রম—সবকিছুর অপচয় হচ্ছে।
বক্তারা মনে করেন, নোয়াখালী বিভাগ হলে শুধু প্রশাসনিক কার্যক্রম সহজ হবে না, বরং শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পর্যটনেও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
সভায় বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলে রংপুর, দক্ষিণে বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণার পর এখন নোয়াখালী বিভাগের দাবি সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত সরকার এই অঞ্চলের উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্ব দেয়নি।
সভায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও সাংবাদিকরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে, নোয়াখালীকে দ্রুত বিভাগ ঘোষণা করার আহ্বান জানান এবং বিভাগ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত, একযোগে জেলা, উপজেলায় কর্মরত সকল গণমাধ্যমকর্মী, সংবাদ প্রচারের অঙ্গীকার অঙ্গীকারবদ্ধ হন।
কেকে/এজে