পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে তা বাস্তবায়ন এবং গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শহরের মুক্তির মোড়ে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য খ.ম আব্দুর রাকিবের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন—কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অ্যাড. আ.স.ম সায়েম, ইউপি চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. আব্দুর রহিম, নওগাঁ পৌরসভা জামায়াতের আমির মাওলানা ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জামায়াত ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সহ ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসমূহ দাবি জানিয়ে আসছে। এসব দাবি বাস্তবায়িত হলে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে, যা বাংলাদেশকে একটি অনন্য উচ্চতায় আসীন করবে। এজন্য পিআর বাস্তবায়ন করা, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিষ্টদের বিচার দৃশ্যমান করা ও ১৪দল ও জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দ্রুত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আ.স.ম সায়েম বলেন, একটি গোষ্ঠী জুলাই সনদ বাস্তবায়ণ হতে দিচ্ছে না। যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়ণ না হয় তাহলে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে যাবে। পিআর পৃথিবীতে একটি অতি জনপ্রিয় দাবী। আর এ পদ্ধতিতে সংখ্যানুপাতিক হারে আসন বন্টন করতে হবে।
জেলা জামায়াতের আমির খ.ম আব্দুর রাকিব বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসমূহ দাবি জানিয়ে আসছে। স্বৈরাচার সরকার রসিকতা করে বলেছিল শিশু ও পাগল ছাড়া বাংলাদেশে যেমন কেয়ারটেকার বুঝে না। তেমনি পিআর পদ্ধতিও কেউ বুঝে না। তবে ৫ আগষ্টের পর জুলাই আন্দোলনের ফলে জালেমদের বিদায় হয়েছে। তবে বাংলার মানুষ এখন পিআর, গণভোট, ফ্যাসিষ্টদের বিচারের দাবীতে হাজার হাজার সমর্থন জানিয়ে আসছে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে গঠিত হবে তার দাবীতে আমরা রাজপথে নেমেছি।
কেকে/ আরআই