গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর এফ হক স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাবেক অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকালে পৌর শহরের সুনামি মার্কেটে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুর এফ হক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুজাম্মেল হক, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি এমএ মালেক, অভিভাবক প্রতিনিধি এসএম আব্দুল হালিম আকন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুহাম্মদ মুজাম্মেল হক জানান, তিনি ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট কলেজ থেকে অবসর নেন। তার সময়ে উল্লিখিত নিয়োগগুলো হয়নি। কিন্তু পরবর্তী তার ও তৎকালীন গভার্নিং বডির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে ৩ জনের ইনডেক্সও হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে এই নিয়োগ বাণিজ্য পরিচালনা করেছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহিম মিয়া ও অর্থবিভাগের প্রভাষক মো. আতাউর রহমান। বিষয়টি নিয়ে আমি শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’
ভুয়া নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা হলেন মো. আরাফাত আলী আকাশ (ল্যাব সহকারী, রসায়ন), সোমা আক্তার (প্রদর্শক, কম্পিউটার শিক্ষা), মো. হুমায়ুন কবির (ল্যাব সহকারী, আইসিটি), মো. মোস্তাফিজার রহমান (প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), মো. হিরু মিয়া (ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট), মো. ফিরোজ আখতার লিপন (ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট) ও মো. মমিনুল ইসলাম (নিরাপত্তা কর্মী)।
এর মধ্যে মো. আরাফাত আলী আকাশ, সোমা আক্তার ও মো. হুমায়ুন কবিরের ইনডেক্স নম্বরও ইস্যু করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মৃণাল কান্তি রায়, সিনিয়র প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম খন্দকার, গোলক চন্দ্র কর্মকার, প্রভাষক আ. কাদের মিয়া, প্রভাষক বিউটি বেগম, প্রভাষক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, শরীরচর্চা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, অভিভাবক আব্দুর রাজ্জাক।
কেকে/ এমএ