নাটোরের লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পদ্মা নদীর বাম তীর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে সিসি ব্লক ধসে পড়ায় নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার পালিদেহা, গৌরীপুর, নুরুল্লাপুর, লক্ষ্মীপুর হয়ে তিলকপুর পর্যন্ত ২২৬ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ দশমিক ৫৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সম্প্রতি গৌরীপুর তালতলা এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে প্রায় ৫০-৬০ মিটার অংশজুড়ে সিসি ব্লক নদীতে ধসে গেছে। বর্তমানে নদীতে স্রোত থাকায় আরও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীরা জানান, এলাকাটি পদ্মা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় প্রতিদিন বহু মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। কিন্তু বাঁধের ব্লক ধসে পড়ায় নদীর পাড়ে ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে আশপাশের বসতবাড়ি ও চলাচলকারী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সচেতন মহল মনে করেন, কিছু অসচেতন ব্যক্তি মাছ ধরার সময় বাঁধের জিও ব্যাগ ও ব্লকের ফাঁকা স্থানে গর্ত করে বাঁশ, কাঠ বা লোহার রড পুতে রাখেন। এতে জিও ব্যাগ ফুটো হয়ে ভেতরে পানি ঢোকার কারণে ধসের সৃষ্টি হচ্ছে।
এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি বলেও স্থানীয়রা মত দিয়েছেন।
ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জু বলেন, “বর্ষাকালে নদীর প্রবল স্রোতে নুরুল্লাপুর, গৌরীপুর ও লক্ষ্মীপুর এলাকায় তীর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ব্লক ধস দেখা দিয়েছে।”
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, “ঘটনাটি আমাদের জানা আছে। বিষয়টি নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।”
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত করিম বলেন, “বাঁধ ধসের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
কেকে/ এমএ