সারকারের রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত না হলে বিচার বিভাগের সংস্কার কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার উদ্দেশ্যেই অতীতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকালে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সংহতির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু বিচার বিভাগকে এখনও জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী উপযুক্ত ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। ন্যায্য বিচার পাওয়ার আশায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে এখনও হাহাকার করতে হয়।”
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “সব সরকারই কোনো না কোনভাবে বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও তার বড় দাগের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিচার বিভাগ জনগণের শেষ ভরসার যায়গা—অথছ তাকে রাজনৈতিক বিরোধীদের হয়রানি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না।”
বহ্নিশিখা জামালী বলেন, “আইনের চোখে সবাই সমান বলা হলেও বাস্তবে সাধারণ মানুষ ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত। সাধারণ মানুষের বিচার পাবার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল করিম টিপুর সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট ফায়েজুর রহমান মনিরের সঞ্চালনায় এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. পিয়াস মজুমদার, অ্যাড. সোমেন মজুমদার বিদ্যুৎ, অ্যাড. অমিত মজুমদার, অ্যাড. এ এইচ এম হাসিবুজ্জামান, অ্যাড. মায়মুনা করিম টপি, মীর রেজাউল আলম, বিপ্লব হোসেন খান প্রমুখ।
প্রতিনিধি সভায় অ্যাড. মাহবুবুল করিম টিপুকে আহ্বায়ক ও অ্যাড. ফায়েজুর রহমান মনিরকে সদস্যসচিব নির্বাচিত করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট গণতান্ত্রিক আইনজীবী সংহতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
সভার শুরুতে ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
কেকে/এজে